সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল। বর্তমানে তারা ফিলিস্তিনের মুসলিমদের সঙ্গে যুদ্ধরত বহু বছর ধরেই। অমীমাংসিত এক সংঘাতে লিপ্ত ইসরাইল ও ফিলিস্তিন। তবে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা বরাবরই নির্যাতিত।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, ১৯২০ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে ইউরোপ থেকে দলে দলে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে যেতে শুরু করেন। ইউরোপে ইহুদি নিপীড়ন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভয়ংকর ইহুদি নিধনযজ্ঞের পর সেখান থেকে পালিয়ে তারা নতুন এক মাতৃভূমির স্বপ্ন দেখছিল। আর সেই স্বপ্ন ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখলের মধ্যদিয়েই বাস্তবে রূপ দেয় তারা।
ইসরাইল নিজেদের আগ্রাসন টিকিয়ে রাখতে দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চালিয়ে যাচ্ছে নির্যাতন। ইহুদি রাষ্ট্র গড়তে একের পর এক প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের।
রাসুল (সা.) এর ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে, কেয়ামতের আগে অবশ্যই এই ইহুদি জাতি মুসলিমদের হাতে পরাজিত হবে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস ২৬৩৪৩)।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কেয়ামত সংগঠিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলমানরা ইয়াহুদি সম্প্রদায়ের সাথে লড়াই না করবে। মুসলমানরা তাদেরকে হত্যা করবে। ফলে তারা পাথর বা বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপন করবে। তখন পাথর বা গাছ বলবে, হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা! এই তো ইয়াহুদি আমার পশ্চাতে। এসো, তাকে হত্যা কর। কিন্তু ’গারকাদ’ গাছ এ কথা বলবে না। কারণ এ হচ্ছে ইয়াহুদিদের গাছ। (মুসলিম, হাদিস ৭০৭৫)
মায়মুনা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের বায়তুল মুকাদ্দাস সম্পর্কে কিছু বলুন! রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বায়তুল মুকাদ্দাস হলো হাশরের ময়দান। পুনরুত্থানের জায়গা। তোমরা তাতে গিয়ে সালাত আদায় করো। কেননা, তাতে এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করা অন্যান্য মসজিদে এক হাজার সালাত আদায়ের সওয়ার পাওয়া যায়।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, হে আমার সম্প্রদায়, আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পবিত্র ভূমি নির্দিষ্ট করেছেন তাতে তোমরা প্রবেশ করো এবং পিছপা হয়ো না। হলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (সুরা মায়িদাহ, আয়াত : ২১)
আল আকসা মসজিদটি 'মসজিদুল আকসা' বা 'বাইতুল মুকাদ্দাস' নামে পরিচিত মুসলিমদের কাছে। মক্কা ও মদিনার পর জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আল আকসা প্রাঙ্গণটি মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টান- তিন ধর্মের মানুষের কাছেই পবিত্র স্থান। যুগ যুগ ধরে এই এলাকা ঘিরেই চলছে বিবাদ। বলা যায় ঐতিহাসিকভাবে এটি বিবাদের ইস্যু।
ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে অন্যান্য কারণের মধ্যে, আল আকসার মতো ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে একটি বড় কারণ বলে মনে করেন। উক্ত আলোচনা ও হাদিস পর্যালোচনা করে দেখা যায় মুসলিমরা বিজয়ী হবে ও ইহুদিরা পরাজিত হবে।
এস