সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের সম্মান জানাতে আয়ারল্যান্ডে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি সচেতন নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণে রোববার (৬ অক্টোবর) ডাবলিনের সায়েন্টোলজি কমিউনিটি সেন্টারে এই স্মরণসভা হয়।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লব যেখানে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। চার হাজারেরও বেশি মানুষকে অন্ধত্ব বরণ করতে হয়েছে। এছাড়া বিশ হাজারেরও বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অনেকেই পঙ্গু হয়েছেন। বেশিরভাগ হতাহত ছিল কম বয়সী ছাত্র এবং শিশু। এমন মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতি কিছুটা ফিকে হতে শুরু করায়, এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, পৃথিবীতে এমন নজির নেই যেখানে সরকার তার দেশের মানুষের বুকে গুলি করে, যেমনটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ করেছে। মাত্র এক সপ্তাহে পঁচিশ হাজার মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাহলে কত গুলি লেগেছে? দেশে এমন যাতে আর কোনোদিন না হয়, ফ্যাসিবাদ যাতে আর ফিরতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশে ও প্রবাসে আমাদের সবার সচেষ্ট থাকতে হবে। হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে দেশের সিস্টেমের এমন ক্ষতি কেউ না করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তারা।
আয়োজক রন্টি চৌধুরী বলেন, আমরা জুলাই গণহত্যার ঘটনাটি ভুলতে পারব না। বাংলাদেশে এমন কিছু আর কখনো না ঘটে সেটা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এরপর তিনি অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।
পরে ইউনাইটেড ফর হিউম্যান রাইটস (ইউএইচআর)-এর মুখপাত্র মিস এশিয়া কুজমা ৩০টি মৌলিক মানবাধিকারের বিষয়ে বক্তব্য দেন। আর সেগুলো কীভাবে কার্যকর করা যেতে পারে তা ব্যাখ্যা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই মানবাধিকারের বিষয়গুলো বোঝা এবং প্রয়োগ করা ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধের চাবিকাঠি।
এদিকে, জুলাই মাসের গণহত্যার ঘটনার চিত্র তুলে ধরতে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় অনেকেই আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রামাণ্য চিত্রের পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত নাগরিক সমাজের কয়েকজন তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত প্রকাশ করেন।
স্মরণসভায় বক্তাদের মধ্যে ছিলেন- জনাব আব্দুল হামিদ রনি, জনাব মেহেদী হাসান, জনাব তানভীর শরীফ, জনাব বদরুজ্জামান মাসুম, জনাব আব্দুল জলিল, ছাত্র-প্রতিনিধি জনাব মুজাহিদ, জনাব হাবিবুর রহমান, জনাব দিদারুল আলম, জনাব মাহমুদুল হান্নান জুনুনসহ আরও অনেকে।
অ