সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভিসানীতি থাকলে অনেক এমপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।
দেশের বর্তমান রাজনীতির সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, বর্তমানে অনেকে ভাবছে ২০১৮ এবং ২০১৪-এর মতো ২০২৪ সালেও হয়তো নির্বাচন হয়ে যাবে। কিন্তু এটা সম্ভব না। কারণ ২০১৪ সালে ১৫৩টি আসনে ডিসিরা এমপি প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেছিলেন। এবার কোন ডিসি আছে যে, স্যাংসনকে মাথায় রেখে বিতর্কিত নির্বাচনের ফল ঘোষণা করবে?
এটা করবে বলে আমার মনে হয় না। যতই সরকার পছন্দের ডিসি এসপি নিয়োগ দেয়। তারা একটা সময় গিয়ে রিস্ক নেবে না। কারণ তারা প্রথমত চিন্তা করবে, আমি বাঁচব কিনা, আমার পরিবার ও প্রজন্ম ঝুঁকিতে পড়বে কিনা? শুধু তাই নয়, এ ভিসানীতি অব্যাহত থাকলে অনেক এমপিই নির্বাচন না করার সম্ভাবনা আছে। কারণ অনেকের ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করে এবং পরিবার থাকে বিদেশে।
টকশোতে তার কাছে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি প্রাচীন দল। আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন আওয়ামী লীগের হাতে নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন আর রাজনীতি করে না, রাজনীতি করে অন্যরা। এ জন্য তাদের সমাবেশে কর্মীরা থাকছে না।
অন্যদিকে বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে কর্মীদের উপস্থিতি ব্যাপক। সমাবেশের আগের রাতেই তারা উপস্থিত হয়ে যাচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগ সমাবেশগুলোতে খিচুড়ি দিয়েও কর্মীদের রাখতে পারছে না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে পুলিশি নির্ভর ছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু বর্তমানে চিত্র পালটে গেছে, পুলিশের ওপর নির্ভর করে সম্ভব না ক্ষমতায় থাকা । এ জন্য কর্মীদের উপস্থিত করার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন দল।
বিএনপির কর্মসূচির বিষয়ে পার্থ আরও বলেন, বিএনপি কিন্তু এখন লোক দেখাচ্ছে। তারা কিন্তু অবরোধ বা ঘেরাও কর্মসূচিতে যায়নি। এটা কিন্তু তারা হাতে রেখেছে। তারা এখন পর্যন্ত কোনো অশান্তি পরিবেশ সৃষ্টি করেনি। আমরা কিন্তু প্রথম অংশটুকু দেখছি, বিএনপি শুধু লোক দেখাচ্ছে ১০ লাখ বা ১৫ লাখ।
কিন্তু এর পরবর্তীতে যদি সরকারের পক্ষ থেকে নড়েচড়ে না বসে তা হলে এ লোকগুলো কিন্তু বসে থাকবে না। এ লোকগুলো একটা আন্দোলনে যাবে। তখন কিন্তু বিদেশিদের আরেকটি স্টেপে এগোতে হবে। তারা (বিদেশিরা) একটা বিষয় দেখবে এতদিন যাবৎ বিএনপি কোনো জ্বালাও-পোড়াও কিছু করেনি। এরপরে বিএনপি যদি অ্যাকশনে যায় তা হলে খুব একটা বিদেশিদের কাছে নেগেটিভ বার্তা যাবে না।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যেই বতর্মানে দেশের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে।
আরএ