সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কিনা এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার না করা পর্যন্ত তারা (আওয়ামী লীগ) রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে পারবে না।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ওই পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন, গণহত্যা সমর্থনকারী আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এখনও ভ্রান্তিতে আছেন যে, দেশ নির্বাচনমুখী হলে তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে পারবেন। কিন্তু দুঃখিত, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার না করলে এবং খুন ও গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বাদ না দেওয়া পর্যন্ত এটি সম্ভব হবে না।
প্রেস সচিব বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংঘটিত হত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ও আদেশদাতাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে জানিয়ে তিনি লিখেছেন, তারা খুব কমই সমঝোতার বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন। তারাও বুঝতে পেরেছেন, অপরাধীরা যদি দায় স্বীকার না করে, তাহলে কীভাবে সমঝোতার আহ্বান জানানো যায়? বরং তারা সংস্কার এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার বিষয়ে বেশি সমর্থন জানিয়েছেন।
শফিকুল আলম আরও লেখেন, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দিনের পর দিন অর্থ খরচ করে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, রক্ষীবাহিনীর হত্যাকাণ্ড এবং শেখ মুজিবুর রহমানের একদলীয় শাসনের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে গেছে।
তিনি লিখেন, বর্তমান প্রজন্ম জেগে উঠেছে। এই প্রজন্ম স্বৈরশাসনের প্রতিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সজাগ রয়েছে। তাদের প্রচেষ্টা প্রতিদিন পুরোনো স্মৃতিকে সতেজ করছে।
আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড যুক্তরাজ্যের রাজনীতিকেও নাড়া দিয়েছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব লেখেন, বিশ্বও আওয়ামী লীগের ভয়াবহ অপরাধের জন্য জেগে উঠেছে। তবু আওয়ামী লীগের সমর্থকরা চুপ নেই।
আরএ