দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
অবশেষে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত) হয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক কমিটির বিতর্কিত চেয়ারম্যান ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান। তার স্থলে এখনো কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সরকারি কলেজ-২) মো. মাহবুব আলমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসানকে প্রেষণ প্রত্যাহারক্রমে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ এনসিটিবিতে সদস্য (প্রাথমিক) পদে দায়িত্ব নেন অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সময়েও তিনি সাড়ে চার বছর এ পদে চাকরি করেন। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম ও সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোয় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তাকে ওএসডি করা হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তদবির করে তিনি নিজেকে ‘বৈষম্যের শিকার’ দাবি করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নেন।
অভিযোগ রয়েছে, অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে কর্মজীবনে তিনি সবসময় আওয়ামী লীগের পরিচয়ে লোভনীয় ও লাভজনক পদ বাগিয়েছেন। তিনি শেরপুর সরকারি কলেজ ও ঢাকার মিরপুর বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ পদেও ছিলেন। তাছাড়া তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর আপন মামাতো ভাই। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকার কারণে একাধিকবার বিদেশ সফরের সুযোগ পান।
এছাড়া সম্প্রতি পাঠ্যবইয়ে আদিবাসী গ্রাফিতি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। বইয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ার ইচ্ছাকৃত দেরি করে নিজের মেয়াদ বৃদ্ধি করার চেষ্টাও করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এফএইচ/