দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
১৮ দিনের চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের দ্যা লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় গিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে তাকে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকেই পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা নিবেন বিএনপি নেত্রী।
এর আগে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানান, তারেক রহমানের বাসায় পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান, শর্মিলা রহমান ও তিন নাতনির সঙ্গে থাকবেন খালেদা জিয়া। বাসা থেকে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে। মায়ের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারেক রহমান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন লন্ডনে সাংবাদিকদের জানান, ছুটি পেলেও খালেদা জিয়া সার্বক্ষণিক অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরাও থাকবেন। অর্থাৎ যুক্তরাজ্যের যে নিয়ম, সেই নিয়ম মেনেই তার চিকিৎসা চলবে।
গত ৭ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পরপরই খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৯ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসের জটিলতাসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরের বছর দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যেতে হয় তাকে। কোভিড মহামারি দেখা দিলে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে তাঁকে মুক্তি দিয়ে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিলেও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তখন বিএনপির অভিযোগ ছিল খালেদা জিয়াকে সরকার গৃহবন্দি রেখেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। তারপরই চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি।
কে