সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, গণহত্যা, গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। এটি সব দলের প্রার্থীর জন্য প্রযোজ্য হবে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আরএফইডি টক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার।
পাশাপাশি বিগত তিনটি নির্বাচন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ তিন নির্বাচন কমিশনকে বিচারের আওতায় আনতে তদন্ত কমিশন গঠনেরও সুপারিশের কথা জানান তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও চাইছে দ্রুত সময় সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নির্বাচন। এদিকে আলোচনায়, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না।
এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে, এসব মামলার আসামি বা সাজাপ্রাপ্তরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না?
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই- যে অন্যায় করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি তদন্ত কমিশন গঠন করার মাধ্যমে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে কারচুপিতে সহায়তাকারীদের বিচার করা হোক। তখনকার কমিশন অন্যায় করলে তাদেরও বিচার হবে। কেউ চায় না অতীতের জায়গায় ফিরে যাক। অতীতের কারচুপি এবারের নির্বাচনে পুনরাবৃত্তি চাই না।
এদিকে নির্দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর বিদেশি শাখা বন্ধসহ দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্র সুসংহত করাসহ নানা ধরনের সুপারিশের কথাও জানান বদিউল আলম।
একইসঙ্গে প্রার্থীরা যাতে ভোটের প্রচারণায় কোনো পোস্টার ব্যবহার করতে না পারে এবং রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে যেন সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেয়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এফএইচ/