সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। এমন পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে আগামীকাল (সোমবার) ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এই প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে। তার এই সফর নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
গত শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এফওসিতে অংশ নিতে ৯ ডিসেম্বর ঢাকা যাচ্ছেন। ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে আলোচনা করবেন। বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবারের এই বৈঠকে ভারতের অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প পুনরায় শুরু করা, ভিসা ব্যবস্থা সহজীকরণ, সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানো এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।
দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমন এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবারের বৈঠকটিকে।
এদিকে রোববার (৮ ডিসেম্বর) প্রেসক্লাবে সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ চ্যাপ্টার আয়োজিত এক সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে স্বীকার করতে হবে যে, সমস্যা আছে। আমাদের এটিও স্বীকার করতে হবে, ৫ আগস্টের আগে এবং পরে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের একটি গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। সে হিসেবে আমি প্রস্তাব করেছিলাম, আমাদের যে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কনসালটেশন আছে সেটি শুরু করব।
অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামীকাল ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আসছেন আমাদের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে। এটা স্ট্যান্ডিং মেকানিজম, অস্বাভাবিক কিছু না। প্রতিবছর আমাদের একজন যান ওপাশে, পরের বছর ওপাশ থেকে একজন আসেন। এটাকে কনসাল্টেশন বলা হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আমি আশা করব তারা একটা ফলপ্রসূ আলোচনা করবেন।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম ঢালাওভাবে অপপ্রচার করে আসছিলো। ঢাকা-দিল্লি এমন টানাপোড়েনে ঘি ঢালে আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে দিনে দুপুরে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা। তারপর ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবসহ নানা ঘটনায় আলোচনায় বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।