সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে কর্মরত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহেদ ফেরদৌস রানাকে বাধ্যতামূক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তার বিরুদ্ধে বহিরাগতদের অস্ত্রগার পরিদর্শনের সুযোগ করে দেওয়া ও তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তা সরাসরি অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।
গত ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে বুধবার (১৭ এপ্রিল) এটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শাহেদ ফেরদৌস রানা ২০২০ সালে এসপিবিএন- ১ এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে তিন জন বহিরাগত ব্যক্তিকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো এবং অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ করে দেন।
এ কাজে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) মো. নুর-এ-সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র) আবু সাঈদ, মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মো. মানিক খান।
এ অভিযোগে ২০২২ সালে পুলিশ অধিদপ্তর থেকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। পরে তিনি কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন।
তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুসারে তার ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষীদের উপস্থাপিত ডিডিওসহ সকল দলিলপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়। পরে গত ২৪ আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি অর্থাৎ প্রকৃত মর্মে মতামত দেয়া হয়।
তাই সার্বিক পর্যালোচনায় এসপি মো. শাহেদ ফেরদৌস রানার বিরুদ্ধে করা বিভাগীয় মামলায় অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
ডিপি/