সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পদ্মা সেতু দিয়ে শুরুতে ছয়টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ অক্টোবর এই সেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। এর এক সপ্তাহ পর যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলবে। রেলওয়ে সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
পদ্মা সেতু দিয়ে শুরুতে ছয়টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ অক্টোবর এই সেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। এর এক সপ্তাহ পর যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলবে। রেলওয়ে সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এবং মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেলপথ ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হবে। এই পথে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হচ্ছে। এই প্রকল্পের তৃতীয় অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার রেললাইনের নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা।
ঢাকা-ভাঙ্গা পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশ হবে। উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়বেন। এ জন্য বাড়তি নিরাপত্তার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
রেলওয়ের পরিকল্পনা বিভাগ সূত্র বলেছে, আপাতত ছয়টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তাব তৈরি করেছে রেলওয়ে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে খুলনা-ঢাকা রুটের দুটি আন্তনগর ট্রেন সুন্দরবন ও চিত্রা, ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেস। এগুলো বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে। এ ছাড়া রাজশাহী-গোপালগঞ্জ রুটের আন্তনগর ট্রেন মধুমতি এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত এবং খুলনা-গোয়ালন্দ রুটের মেইল ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেসকেও পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, ৩ অক্টোবরের মধ্যে ট্রেনের সময়সূচি ও সংখ্যা চূড়ান্ত করতে হবে। যাত্রী ও অন্য রুটের প্রভাবের বিষয়টি মাথায় রেখে ট্রেন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এই পথে যে রুট থেকে ট্রেন আনা হবে, সেই রুটে অন্য ট্রেনের স্টেশন বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) অসীম কুমার তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়টি ট্রেন চলবে তা এখনো ঠিক হয়নি। আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস পদ্মা সেতু হয়ে চলার বিষয়ে সবাই একমত। এ ছাড়া একটি ট্রেন ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত চালানোর কথা হচ্ছে। সেখানে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ লাইনের বিষয় আছে। শিগগির এটা চূড়ান্ত হবে।
এদিকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় চীনের তৈরি ১০০টি আধুনিক ব্রডগেজ যাত্রী কোচ কেনা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে শোভন চেয়ার কোচ ২৫টি, এসি চেয়ার কোচ ৩৫টি, এসি কেবিন কোচ ১৫টি, ডাইনিং কার কাম গার্ড ব্রেক ১৫টি ও পাওয়ার কার ১০টি। এগুলোর মধ্যে চিত্রা, সুন্দরবন, বেনাপোল এবং চিলাহাটি এক্সপ্রেসের জন্য ৭০টি কোচ ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকি ৩০টি কোচের কমিশনিং ও ট্রায়াল রান হয়েছে। এগুলো ব্যবহৃত হবে দুটি ট্রেনে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে স্লট খালি না হলে তা সম্ভব হচ্ছে না। রেল কর্মকর্তারা বলেছেন, পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে স্লট খালি হবে। তখন এই পথে নতুন ট্রেন চালু করা যাবে।
এ বিষয়ে অসীম তালুকদার বলেন, তারা প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। চালুর বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে কাজ চলছে। পদ্মা সেতুতে ট্রেন চালুর পরই হয়তো এটা চালু করা যেতে পারে।
এফএইচ