সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রমজানের রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। ঈমান, নামায ও যাকাতের পরই রোজার স্থান। এর আরবি শব্দ সওম, যার আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। এক মাসের শারীরিক ত্যাগ আর আত্মিক পরিশুদ্ধতার মাস, যেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ে পানাহার থেকে বিরত থাকেন।
বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষ দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্রের যে দুর্ভোগে থাকে সেটি অনুধাবনের একটি সুযোগ করে দেয় এই রোজা। তবে পর্যাপ্ত পানি পান না করা, ঘুমের ব্যাঘাত হওয়া ও যথাযথ খাদ্য গ্রহণ না করার একটি প্রভাব পড়তে পারে শরীরে ও ত্বকে।
টিকটক ডার্মাটোলজিস্ট (চর্ম বিশেষজ্ঞ) দ্যা ডার্ম ডক্টর, যার অন্য পরিচয় হলো ড. মুনিব শাহ লোকজনকে উৎসাহিত করছেন রোজার মাসে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, “আমার বড় হওয়ার সময়টাতে আমার খুব বেশি দক্ষিণ এশীয় ও মুসলিম বন্ধু ছিলো না যারা রোজা পালন করতো,” তবে সামাজিক মাধ্যমের একটি চমৎকার বিষয় হলো আপনি যেখানেই থাকুন না কেন বিশ্বের অনেক লোকজন পাবেন যারা তাদের এসব অভিজ্ঞতা শেয়ার করছে”।
২০২০ সালে টিকটকে প্রথম পোস্ট করার পর থেকে মি. শাহ-র ফলোয়ার এখন পর্যন্ত এক কোটি সত্তর লাখ এবং এই প্লাটফর্মে ডার্মাটোলজিস্টদের মধ্যে তাকেই বেশি অনুসরণ করা হয়।
তিনি ত্বকের যত্নের মিথগুলোকে উন্মোচন করতে এবং এই মাস কীভাবে কিছু লোকের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সেটি প্রকাশ করতে চান।
তিনি আরও বলেন, “অনেকের ত্বকে সোয়ারিসিস ও ব্রণ আছে এবং কিছু গবেষণা বলছে রোজার সময়ে যারা উপবাস থাকবেন তাদের সোয়ারিসিসের মতো অবস্থা কিছুটা কমতে পারে,”।
রোজায় ত্বকের যত্ন নেওয়া নিয়ে মি. শাহের কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরা হলো:
পানাহার থেকে বিরত থাকলে ত্বক কিছুটা ময়েশ্চার হারাতে কিংবা পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। সে কারণে পানিশূন্যতা প্রতিরোধী উপাদান ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন মি. শাহ।
তিনি বলেন, “দৈনিক পাঁচবার নামাজের সময় ও এর পরে মুখ ধোয়ার কারণে মুখ শুকিয়ে যেতে পারে। মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় এটা ত্বকের প্রদাহের কারণ হতে পারে”।
ড. শাহ'র ব্যাখ্যা অনুযায়ী কিছু মানুষ অভিযোগ করেন যে রোজার সময় তাদের ত্বকের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। এর কারণ হলো রোজায় তাদের খাদ্য তালিকায় হুট করেই অনেক পরিবর্তন আসে। এর মানে হলো রোজা শেষে ইফতারিতে আপনি কী খাচ্ছেন। সূর্যাস্তের সময় এবং সূর্যোদয়ের আগে অনেক ভারী খাবার কিংবা খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার না থাকলে ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ড. শাহ অবশ্য লোকজনকে উৎসাহিত করেন, ইফতারিতে সেরকম খাবার খেতে, যেটা তারা পছন্দ করেন, কিন্তু অবশ্যই দেখে শুনে।
তিনি বলেন, “ভাজা খাবারের সাথে ব্রণের সম্পর্ক নেই। কিন্তু অতিরিক্ত যে কোনো খাবার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে”। “আমি ইফতারিতে ভাজা খাবার খেতে পছন্দ করি কিন্তু অনেকেই দেখবেন যে এটা তাদের ত্বকের ক্ষতি করছে”।
রোজার সময়ে খাবার ও ঘুমের প্যাটার্নে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। সে কারণে দৈনন্দিন ত্বকের যত্নে রুটিনেও পরিবর্তন আনেন অনেকে।
কিন্তু ড. শাহ বলছেন, রোজাতেও আপনি ত্বকের যত্নে আপনার স্বাভাবিক উপাদানগুলোই ব্যবহার করতে পারেন। “এটা সাধারণত ভুল ধারণা যে রোজার সময় নিয়মিত ব্যবহৃত স্কিন কেয়ার উপাদান ব্যবহার করা যায় না”। আমি মনে করি আপনি ক্লাসিক ময়েশ্চার ও সানস্ক্রিন ক্রিম রোজাতেও ব্যবহার করতে পারেন”।
এস