সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
স্ট্রেস হলো এমন একটি পরিস্থিতির মনস্তাত্ত্বিক এবং শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া যা নিজেকে হুমকি বা চ্যালেঞ্জ হিসাবে উপস্থাপন করে। মানসিক চাপ মস্তিষ্কের পেছনের ছোট অংশটিকে সক্রিয় করে তোলে। যা হাইপোথ্যালামাস নামে পরিচিত। এটি হরমোন নিঃসরণ করে যা আমাদের লড়াই বা ফ্লাইটের প্রতিক্রিয়াকে ট্রিগার করে।
গবেষণা অনুসারে, নিঃসৃত প্রাথমিক হরমোন হল কর্টিসল যা আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায়। এটি শরীরকে দক্ষতার সাথে মস্তিষ্ক এবং পেশী মেরামতের কার্য সম্পাদন করতে সক্ষম। একই সময়ে, প্রজনন এবং পাচনতন্ত্রের মতো অপ্রয়োজনীয় কাজগুলোকে বাধা দেয়।
দ্বিতীয় স্ট্রেস হরমোন- অ্যাড্রেনালিন- আপনার রক্তপ্রবাহে বর্ধিত গ্লুকোজের মাত্রা পেশীগুলোর জন্য ব্যবহার করা সহজ করে তোলে। স্ট্রেসফুল ইভেন্ট পার হয়ে গেলে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
অল্প পরিমাণ চাপ ইতিবাচক বলে মনে করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি পরের দিন একজনের পরীক্ষা থাকে, তাহলে ইতিবাচক চাপ শিক্ষার্থীদের দেরি এড়াতে এবং পরীক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে। অত্যধিক চাপের মাত্রা আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যার মধ্যে রয়েছে উদ্বেগজনিত ব্যাধি, বিষণ্নতা, জ্বলন, হজমের সমস্যা, স্থূলতা এবং হৃদরোগ। আপনিও যদি এ ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে থাকেন তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক, পাঁচ মিনিটেই কীভাবে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করবেন-
আপনার নিঃশ্বাসের প্রতি মনোযোগ দিন। ধীরে ধীরে গভীর নিঃশ্বাস নিন। এই পদ্ধতিটি আপনার শরীরে আরও অক্সিজেন প্রবেশ করতে এবং আপনার মনকে শিথিল করতে সাহায্য করবে।
পানির অভাবে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার প্রভাব আমাদের মনের ওপরেও পড়ে। শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে স্ট্রেসও। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এতে আপনি হাইড্রেটেড এবং শিথিল থাকবেন।
নিজের কাছে সব সময় কাগজ কলম রাখুন। তাতে নিজের মনের সব কথা লিখুন। কোন বিষয় আপনার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে আর সেটি কীভাবে তা নোট করে রাখুন। লেখার এই অভ্যাস আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে এবং মনের ভেতরে চলতে থাকা অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করবে।
মন শান্ত করতে আপনার শরীরের ব্যবহার করুন। যেমন: হাত-পা প্রসারিত করুন, শারীরিক ভঙ্গী পরিবর্তন করুন, হাঁটাচলা করুন। এক জায়গায় একইভাবে দীর্ঘ সময় বসে থাকবেন না। এমনিতে এক জায়গায় অনেকক্ষণ বসে থাকলে তা শরীরেও নানা ক্ষতি করে।
নিজেকে সব সময় একা করে চুপচাপ থাকবেন না। বরং একজন ভালো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন। হতে পারে সে আপনার পরিবারের কেউ, সহকর্মী কিংবা সহপাঠী। যে আপনাকে ভালো বুঝতে পারে, তাকে মন খুলে নিজের কথাগুলো বলুন। আপনার মনের ভেতরে কী চলছে তা তাকে বুঝিয়ে বলুন। এতে আপনার মন অনেকটাই হালকা হবে।
ভালোভাবে কাজ করা এবং উৎপাদনশীল হওয়ার জন্য বিশ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাঝেমধ্যে দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত ঘুম আপনাকে চাপ ঝেড়ে ফেলে পুনরায় শক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করতে পারে। তাই স্ট্রেস দূর করার জন্য ছোট্ট বিশ্রাম নিয়ে নিতে পারেন।
আপনার আশেপাশের বাগান বা সবুজ মাঠে হাঁটাহাঁটি করে আসতে পারেন। এতে আপনার মনের ভেতরে চলতে থাকা অস্থিরতা অনেকটাই দূর হবে। বাসায় ফিরে দেখবেন, সতেজ লাগছে। তাই স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে এই কাজ করতে পারেন।
এস