দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গাজীপুরে শিশু হত্যায় ফাতেমা খাতুন (৩৬) নামের এক নারীর আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আব্দুর রহমান এ রায় দেন।
ফাতেমা খাতুন কাপাসিয়া উপজেলার বড়চালা গ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে। নিহত ওই শিশুর নাম মিথিলা ময়েজ (১)। সে একই এলাকার দুবাই প্রবাসী ময়েজ উদ্দিনের মেয়ে।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. আতাউর রহমান জানান, আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
তিনি জানান, ২০০৭ সালে ১৬ জুলাই মোসা. নেলি বেগম মিথিলা ময়েজকে ভাগিনী শান্তার কাছে রেখে কেনাকাটা করার জন্য রাণীগঞ্জ বাজারে যায়। বিকালে তার চাচাত ননদ ফাতেমা খাতুন শান্তা ও মিথিলা ময়েজকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে কাপাসিয়া বাজারে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাওনাট গ্রামে সরকার বাড়ি পুকুরের কাছে এসে শান্তার কোলে থাকা মিথিলা ময়েজসহ ধাক্কা দিয়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পরে শান্তার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের পানি থেকে উঠায়। এদিনে ফাতেমা খাতুন রাতে মিথিলা, শান্তা ও ফারজানাকেসহ তার দুর সম্পর্কের আত্মীয় নয়ন মিয়ার বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। রাতের কোনো এক সময়ে মিথিলা ময়েজকে ঘুম থেকে উঠিয়ে রাওনাট গ্রামস্থ সরকার বাড়ির পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে খুন করে পালিয়ে যান ফাতেমা খাতুন। পরে ১৭ জুলাই মিথিলা ময়েজকে মৃত অবস্থায় পুকুরের পানি থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা মোসা. নেলি বেগম বাদী হয়ে ওই বছরের ১৭ জুলাই কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাপাসিয়া থানার এসআই একে আজাদ একমাত্র আসামি ফাতেমা খাতুনকে অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। শুনানির পর ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ দীর্ঘ ১৬ বছর পর বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
জেবি