সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দুটি চীনা ও কয়েকটি রুশ কোম্পানিসহ মোট ৮টি ফার্মের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত জানায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ঝিজ্যাং ইউনিভিউ টেকনোলজিস। মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত। উইঘুর এবং বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক- ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির ওপর প্রতিনিয়ত নজরদারির মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অপর চীনা প্রতিষ্ঠান হলো বেইজিং জংডান সিকিউরিটি টেকনোলজি গ্রুপ। মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয় এমন সব পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করে প্রতিষ্ঠানটি।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন সমর্থন করে না। তাই কোম্পানিগুলার বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এটা নিশ্চিত করতে চায় যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে যেন মার্কিন যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত না হয়।
এদিকে বেইজিং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মানবাধিকারের কথা বলে দুই হাইটেক চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রকাশ্যে দমন-পীড়নের শামিল। যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার রক্ষার কথা বললেও এর মধ্য দিয়ে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বাস্তবতা হলো, এর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে চীনা জনগণকে উন্নয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের কর্মকাণ্ড কখনোই সফল হবে না।
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে বেইজিং জংডান সিকিউরিটি টেকনোলজি গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে এএফপি। প্রথমে ফোন ধরলেও এফপির সাংবাদিক পরিচয় জানার পর লাইন কেটে দেওয়া হয়। এরপর প্রতিষ্ঠানটির আরও দুটি নম্বরে কল করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাশিয়ার দুটি ও মিয়ানমারের দুটি কোম্পানি রয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। এইসব অস্ত্র মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের ওপর ব্যবহার করে দেশটির সামরিক বাহিনী।