সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) ইরান সময় সকাল ৮:২০ পর্যন্ত ৪৪২টি শহরের ৪৭ হাজার ৬০৪ টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এইসব ভোটকেন্দ্রের ব্যালটের পরিমাণ ১ কোটি ৯০ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭১৩।
ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট গণনা চলছে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ঊনষাট লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার সাত শত একাশি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণাওলয়ের প্রকাশিত সর্বশেষ সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে কট্টরপন্থী সাইদ জলিলি পঞ্চান্ন লক্ষ ষাট হাজার তিন শত একুশ ভোট নিয়ে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন।
এখন পর্যন্ত গণনাকৃত ব্যালটের মধ্যে মোহাম্মদ-বাগের গালিবাফ পেয়েছেন ২৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫১২টি ভোট এবং মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদী পেয়েছেন ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮১৪টি ভোট।
একাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ, যা দেশটির ধর্মীয় নেতাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরান ও অন্যান্য শহরের ভোটকেন্দ্রগুলো খালি ছিল। ইরানের আধাসরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, এই নির্বাচন ‘রানঅফে’ গড়ানোর সম্ভাবনা খুব বেশি।
দেশটির নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে কেউ যদি সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চান তাহলে তাকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি ভোট পেতে হয়। কোনো প্রার্থী এই সংখ্যায় পৌঁছাতে না পারলে নির্বাচন সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর রানঅফে গড়াবে। এই রানঅফে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
রয়টার্স বলছে, যদিও এই নির্বাচন ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না, তবে এর ফলাফল ১৯৮৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ইরানের ৮৫ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরাধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে।
ইরানের নির্ধারিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৫ সালের জুন মাসে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ মে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি তার সাত সফরসঙ্গীসহ এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় শহীদ হওয়ার কারণে সংবিধানের ১৩১ এবং ১৩২ নম্বর ধারা অনুযায়ী আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
এরপর এই ছয় প্রার্থী ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালান ও টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেন। তবে এরমধ্যে ৬ জন প্রার্থীর দুইজন অন্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন। ফলে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকেন চার প্রার্থী। তারা হলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান, সাইদ জলিলি, মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি, ও মোহাম্মদ বাকের কলিবফ।
এমএ