সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
স্বামীর খোঁজে নিজের সন্তানসহ ভারত গিয়েছেন বাংলাদেশি এক নারী। তার নাম সোনিয়া আক্তার। স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার আর্জি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সোনিয়ার স্বামী মধ্যাঞ্চলীয় নয়ডার সুরাজপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া’র।
তিন বছর আগে ঢাকায় বিয়ে করেন এই দম্পতি। কিন্তু ভারত ফিরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন সোনিয়ার স্বামী সৌরভ কান্ত তিওয়ারি। সোনিয়ার দাবি, সৌরভ এখন আর তার সঙ্গে থাকতে চাচ্ছে না। এজন্য নিজের বাড়িতেও সোনিয়াকে নিচ্ছে না সৌরভ।
স্থানীয় পুলিশের গাড়িতে উঠে সাংবাদিকদের সোনিয়া বলেন, আমি একজন বাংলাদেশি। প্রায় তিন বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের সন্তানসহ আমি আমার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই। পরে সোনিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নয়ডা পুলিশ।
মধ্যাঞ্চলীয় নয়ডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রাজিব দীক্ষিত পুরো মামলার বিষয়গুলো খোলাসা করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশি ওই নাগরিক মহিলা থানাকে জানিয়েছে সৌরভ কান্ত তিওয়ারির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। সৌরভ সুরাজপুর এলাকায় থাকে। তাকে বাংলাদেশে ফেলে ভারত চলে আসে সৌরভ। আর সৌরভের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে বলেও জানান ওই নারী।
নিজের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণও উপস্থাপন করেন সোনিয়া। তিনি নিজের ভিসা ও পাসপোর্টের বিস্তারিত প্রমাণাদি এবং বাচ্চারও কাগজপত্র পেশ করেছেন। এছাড়া নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের প্রমাণও দিয়েছেন সোনিয়া।
রাজিব বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সৌরভ ও সোনিয়ার বিয়ে হয়েছে। তবে নারী ও শিশু সুরক্ষার একজন সহকারী পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। এরপরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সৌরভ ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল ইসলাম ধর্মমতে সৌরভ ও সোনিয়ার বিয়ে হয়। তবে ভারতের পুলিশ জানিয়েছে, সৌরভের আগে থেকেই স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।
এইউ