দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ঢাকাই সিনেমার নক্ষত্রগুলো একে একে খসে পড়ছে। এসব গুণী অভিনয়শিল্পীদের কেউ কেউ নিঃশব্দে, মনে কষ্ট নিয়ে বিদায় নিচ্ছেন। এই বিদায়ে শোবিজ অঙ্গনে তৈরি হচ্ছে শূন্যতা। যা কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। সেই শূন্যতা তৈরি করে গত রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে বিদায় নিলেন রুপালি পর্দার সাড়া জাগানো আরেক বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুব একটা কথাও বলতেন না। তবে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো তার শেষ ইচ্ছা ছিল। অভিনেতার পরিবার থেকে এ তথ্য জানা যায়। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য শেষ ইচ্ছা আর পূরণ হয়নি। অভিনয়ের জন্য তেমন কেউ আগ্রহ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করেননি।
প্রবীর মিত্রর মতো একই ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন আরেক অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। ২০২১ সালে মারা যান তিনি। এই অভিনেতা অসুস্থ হয়ে প্রতীক্ষায় ছিলেন সুস্থ হয়ে আবার অভিনয়ে ফেরার। প্রবীর মিত্রর মতো তারও শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিলেন জনপ্রিয় এই দুই অভিনেতা। তাদের পরিবার থেকে জানা যায় , জীবনের শেষ সময়ে দুজনেরই বয়সটা অভিনয়ের জন্য খুব একটা ভালো ছিল না। তবে উভয়ের মনের জোর ছিল প্রবল। অদম্য অভিনয়ের প্রতি টান থেকে দেশের গুণী দুই অভিনয়শিল্পী জানিয়েছিলেন, সুযোগ পেলে জীবনের সবচেয়ে দামি সময় কাটানো সেই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনে মুখর হতে চান তারা।
প্রয়াত এই দুই অভিনেতা ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একসঙ্গে অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। সেই বন্ধুত্ব শেষ সময় পর্যন্ত অটুট ছিল। এমনকি এ টি এম শামসুজ্জামান মারা যাওয়ার খবর প্রবীর মিত্রের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল।
বন্ধুর শোকে অসুস্থ শরীর নিয়েই প্রবীর মিত্র ভেঙে পড়তে পারেন, এই ভয়ে অভিনেতার মৃত্যুর সংবাদ তাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়নি। এমনকি বন্ধুর মৃত্যুর খবর যেন দেখতে না পান, সে কারণে তার ঘরের টেলিভিশনও বন্ধ রাখা হয়েছিল। ঢালিউডে এমন বন্ধুত্ব এখনো বিরল।
অ