দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিনোদন জগতে বর্তমানে সবচেয়ে চর্চিত খবর সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান এবং আন্তর্জাতিক মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের বিয়ে। বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাদের নিয়ে ভিন্ন ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছেন নেটিজেন থেকে শুরু করে বিনোদন অঙ্গন এবং কবি সাহিত্যিকদের অনেকে। কেউ প্রশংসা করছেন আবার কেউ করছেন কটাক্ষ। এবার তাহসান-রোজা ও মিথিলাকে নিয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ও নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
নিজের ফেসবুকে অরুণা লিখেছেন, মেয়েটির চেহারার সঙ্গে নামের দারুণ একটা মাখামাখি আছে। রোজা নামটি মনে হয় ওকেই মানিয়েছে। কেন যেন আমার খুব পছন্দ ওকে। কী দারুণ আত্মবিশ্বাস! কোনো বাড়তি ঢং নেই, দেখানোপনা নেই, পুরোটাই বাঙালি। আমরা বলি স্রষ্টা প্রদত্ত প্রতিটি মানুষের মধ্যে হয়তো থাকে কিন্তু নিজেকে আবিষ্কার করার ক্ষমতা সবার কি থাকে?
অভিনেত্রী আরও লেখেন, একটি পরিবার থেকে যখন বাবা হারিয়ে যান, পরিবারের সন্তানেরা তখন যদি ছোট থাকে আর সঙ্গে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা না থাকে শুধু তারাই জানে এবং বুঝতে পারে এ পৃথিবীটা কেমন। আর মানুষগুলো কত নির্মম।
সবশেষে মিথিলাকে নিয়ে অরুণা বিশ্বাস লিখেছেন, তাহসান গুণী মানুষ তার মধ্যে নিশ্চয়ই ম্যাজিক আছে তাই উনি জনপ্রিয়। মিথিলাও গুণী, শিক্ষিত, পরিণত। ওরাই ভাবুক ওদের কথা। চলুন আমরা তাহসান ও রোজার জন্য আমাদের ভালোবাসা পৌঁছে দেই। ভালো থাকুক প্রেম ও পরিণয়।
অন্যদিকে তসলিমা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ফেসবুক ছেয়ে গেছে’ তাহসান জিতেছে তাহসান জিতেছে’ রবে। কেন তাহসান জিতেছে, বুঝে পেলাম না। সে একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে বা করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে জেতাজেতির কী হলো! হেটারোসেক্সুয়ালদের বিপরীত লিঙ্গে আকর্ষণ থাকে, তারা জীবনের কোনও এক সময় পছন্দসই কাউকে পেলে তার সঙ্গে প্রেম করে, লিভ ইন করে বা তাকে বিয়ে করে। এ তো স্বাভাবিক। জিতলো কেন তাহলে তাহসান?
রাজকন্যার জীবন তার ছিল না, খুব স্ট্রাগল করেই দারিদ্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে একটি মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। স্ট্রাগল করার সময় নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিল বলে নিজের স্বপ্ন যে করেই হোক পূরণ করতে চেয়েছিল বলে পুরুষতান্ত্রিক নারীবিদ্বেষী সমাজ রোজাকে কম নিন্দে করেনি, কম অপমান করেনি, কম অপদস্থ করেনি। মিথিলাকে নিয়েও কম কুৎসা রটানো হয়নি।
সবশেষে তিনি লিখেছেন, তারা ভ্রুক্ষেপ করছে না কুৎসা বা নিন্দে, এ জিতে যাওয়ার দ্বিতীয় শর্ত। ভাল না লাগলে তারা তাদের সঙ্গীকে, সে প্রেমিক হোক, সে স্বামী হোক, ত্যাগ করতে পারছে, তারা বাধ্য নয় তাদের সঙ্গে এক ছাদের তলায় বাস করতে, এ জিতে যাওয়ার তৃতীয় শর্ত। তাহসানকে যদি কখনও পছন্দ না হয় রোজার, তার স্বনির্ভরতাই তাকে সাহস জোগাবে তাহসানকে ত্যাগ করার। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের জেতা কোনও চ্যালেঞ্জ নয়। নারীর জন্যই এ চ্যালেঞ্জ। দুই নারীই চ্যালেঞ্জে জিতেছে। জয়তু নারী।
অ