সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মাদক কেনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে অভিনেত্রী সাফা কবির, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, তানজিন তিশা এবং সংগীত শিল্পী সুনিধি নায়েকের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার হওয়া এক শিক্ষার্থীর ফোন থেকে মিলেছে মাদকের সঙ্গে তারকাদের সংযোগ থাকার প্রমাণ। তবে এই মাদক কাহিনির সঙ্গে শুধু তিন তারকা নয় আরও অনেকে জড়িত আছেন। যা এটি এখন এখন দেশের টক অব দ্যা কান্ট্রি।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যে কর্মকর্তার তদন্তের জালে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হয়েছিল তাকেই এবার রহস্যজনকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার রহস্য এখানেই শেষ নয়, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ইতোমধ্যেই চতুরমুখী চাপে আছে বাহিনীটি। শুধু তাই নয়, এমন ঘটনায় এক উপদেষ্টার স্ত্রীর হুমকিও এখন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন হুমকির বিষয়টি সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল। অনেকেই বলছে এটি ভুয়া আবার কেউ বলছে সত্যি। এটার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
গেল ১৭ অক্টোবর ডিএনসির সহকারী পরিচালক রাহুল সেনের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ সিসা, এমডিএমএ, এলএসডি, কুসসহ বেশ কিছু মাদকসহ গ্রেফতার করে নথসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অরিন্দম রায় দীপকে। ঘটনার রহস্যের জন্ম ঠিক তখনই। দীপের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিংয়ে মেলে দেশের জনপ্রিয় কয়েকজন অভিনেত্রীর মাদক সম্পৃক্ততার তথ্য। এমনকি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া মাদকের অর্ডারসংক্রান্ত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং রেকর্ডও পাওয়া যায়। এরই মধ্যে গণমাধ্যমের সংবাদে ভাইরাল সেই স্কীনর্শটগুলো।
যেখানে প্রমান মেলে ছোট পর্দার মডেল ও অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, সাফা কবির, তানজিন তিশা এবং সুনিধির মাদকের সাথে জড়িত থাকার তথ্য। এছড়া খবর রটেছে এই মাদককাণ্ডে বর্তমান সময়ের দেশের একজন জনপ্রিয় পরিচালক, নারী কণ্ঠশিল্পী ও একজন নায়ক জড়িত আছেন। এই পরিচালক সিনেমার পাশাপাশি ওয়েব ফিল্মও বানান। গুঞ্জন আছে তারা সবাই মিলে কক্সবাজারে এক পার্টিতে ভয়ংকর মাদক সেবন করেন। এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ঔই পরিচালক উঠেপড়ে লেগেছেন এবং ভেতর থেকে অনেক প্রভাবশালীরা হুমকি দিচ্ছেন।
১৭ অক্টোবর এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটলেও আলোচনায় আসে গেল ১৯ ডিসেম্বর। দীর্ঘ দুইমাস পেরিয়ে গেলেও এখনও ধরাচোয়ার বাহিরে নাম উঠে আসা অভিনেত্রীরা। এনিয়ে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে তদন্তকারী কর্মকর্তা রাহুল সেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বর্তমানে বদলী করা হয়েছে তাকে।
এমন ঘটনা মিড়িয়ায় আলোচনার জন্ম দিলেও অনেকটাই নিরব মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। যার বহিপ্রকাশ ঘটলো উপ- পরিচালক শামীম আহমেদের কথার সূত্রে। ঘটনার সত্যতা থাকলেও এ নিয়ে কথা বলতে নারাজ তিনি।
তবে হোয়ার্সআপ আর স্ন্যাপচ্যাটের তথ্যের সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসছে আরো অনেকের নাম। ফেসে যেতে পারে কয়েকজন অভিনেতাও। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অপারেশন বিভাগের পরিচালক অপারেশনস্ জানান, এরই মধ্যে আরো বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছে তারা। তদন্তের স্বার্থে নাম বলতে অনিচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি।
তবে যে কর্মকর্তার জালে এমন ঘটনার জন্ম হলো তাকেই সরিয়ে দেওয়ায় জন্ম নিয়েছে ফের আলোচনা। তাহলে কি জড়িতদের বাচাতেই তদন্ত কর্মকর্তা রাহুলকে সরিয়ে দেওয়া হলো? এমন প্রশ্ন বাহিনীটির প্রধানের কাছে। প্রশ্ন শুনে অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে জানান, কারো জন্য তদন্ত থেমে থাকবে না। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে উল্টো বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তাকেই জিজ্ঞেস করুন।
এদিকে মাদকের সাথে জড়িত থাকায় এসব অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় নেটিজেনদের মাঝে। প্রশ্ন একটাই তদন্ত শেষ হবে কবে? আর জড়িত বাকিরা আসলে কারা?