দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বেফাঁস কথাবার্তার জন্য কঙ্গনা অনেকের কাছে বিরাগভাজন। তবে তার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কারও কিছু বলার নেই। চরিত্রগুলোকে নিপুণভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারদর্শী। সেকারণে বেশিরভাগ দর্শক মনে করেন, মুখটা বন্ধ রাখলে শীর্ষ নায়িকার আসনটি তার হতো।
সদ্য প্রকাশ পেয়েছে কঙ্গনা অভিনীত ‘এমারজেন্সি’ সিনেমার ট্রেলার। এতে ভারতের প্রথম ও একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির সংসদ সদস্য হয়ে বিরোধী দল কংগ্রেস নেত্রীর চরিত্রে অভিনয় অবাক করার মতো। তবে এই ছবিতে কিন্তু মোটেই তাকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।
গণতান্ত্রিক ভারতের অন্ধকার সময়ের ঝলক হিসেবে এমার্জেন্সি পিরিয়ডকে ছবির ট্রেলারে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে ভারতে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি। একটানা ২১ মাস দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। বলা হয়, গদি বাঁচাতে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেন নেহেরুকন্যা। সেই বিতর্কিত অধ্যায়ই এবার রুপালি পর্দায়।
ট্রেলারে দেখানো হয়েছে, রাজনীতিতে পা রাখার পর বাবা তথা প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে ইন্দিরার সম্পর্ক, কেমনভাবে বোবা পুতুলের তকমা ছেড়ে ধীরে ধীরে রাজনীতির রাশ নিজের হাতে তুলে নেন। সেই সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার টুকরো টুকরো ঝলক উঠে এসেছে।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভূমিকায় দেখা গেল শ্রেয়স তলপড়েকে। স্যাম মানেকশর চরিত্রে মিলিন্দ সোমান, জয়প্রকাশ নারায়ণ হিসেবে দেখা গেল অনুপরম খেরকে। প্রয়াত অভিনেতা উপপ্রধানমন্ত্রী জগজীবন রামের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সতীশ কৌশিক।
ছবিটি প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনা করেছেন কঙ্গনা। এই ছবির মাধ্যমে যে পরোক্ষভাবে কংগ্রেসের ইন্দিরা আমলকে বিঁধতে চলেছেন তিনি, তা ট্রেলারেই স্পষ্ট বোঝা গেল। পুরো ছবিতে কী থাকছে, সেটা দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আরএস/কে