সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাংলাদেশের কুমিল্লায় জন্ম। কলকাতা দেখার ইচ্ছা হওয়ায় বাবার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে যান। শহর দেখার ইচ্ছা নিয়ে আসা সেই মেয়েটাই আজকের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। কলকাতায় আসার পর যে তার জীবনটাই বদলে যাবে, সেটা কেইবা জানত! দেখতে দেখতে জীবনের প্রায় ৬০ বসন্ত পার করে ফেলেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমায়।
তৎকালীন সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন সাবিত্রী। তার ডাগর ডাগর চোখ আর পান পাতার মতো মুখে মুগ্ধ হয়েছিল আপামর বাঙালি। পরিচালক, প্রযোজকের অত্যন্ত পছন্দের নায়িকা ছিলেন তিনি। তবে এ রকম ডাকসাইটে সুন্দরী কেন আজীবন অবিবাহিত থেকে গেলেন?
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহুবার বিয়ে সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন সাবিত্রী। কিছুদিন আগেই যখন ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’র মঞ্চে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন, তখন এ রকমই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে সামনে পেয়ে এই প্রশ্নটা করার লোভ সামলাতে পারলেন না সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলাপচারিতার মাঝেই রচনা জিজ্ঞেস করে বসেন, কেন সাবিত্রী দেবী এখনও বিয়ে করেননি? প্রশ্নের জবাব দিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করেননি এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। হাসি মুখেই বলেন, ‘যখনই যার সঙ্গে প্রেম করতে যাই, তখনই তার একটা করে বউ থাকে। জীবনে কাউকে খালি পেলাম না। এখনও যদি কোনো খালি অর্থাৎ একা মানুষকে পাই অবশ্যই বিয়ে করে নেব।’
অভিনেত্রীর মুখে এমন জবাব শুনে হেসে লুটিয়ে পড়েন অনুষ্ঠানের বাকি সবাই। এ দিন অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন— রত্না ঘোষাল, চিত্রা সেন ও মাধবী মুখোপাধ্যায়ের মতো তারকারা। প্রত্যেকেই হেসে গড়িয়ে পড়লেন। শোনা যায়, মহানায়ক উত্তমকুমারকে ব্যক্তিগতভাবে নাকি খুবই পছন্দ করতেন সাবিত্রী। উত্তম-সাবিত্রী জুটিকে দর্শকরাও বেশ পছন্দ করতেন। যদিও এখন তিনি কাজ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন।
আরএসও