সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি একটু একটু করে স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ৪ আগস্ট (রোববার) খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্ত ছাত্র-জনতার ডাকা কর্মসূচীতে বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা উত্তপ্ত। এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। অতএব রোববার (৪ আগস্ট) থেকে বিদ্যালয় খুলছে না বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত বুধবার (৩১ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের যৌথ বৈঠক শেষে জানানো হয়, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে আগামী রোববার (৪ আগস্ট)। তবে ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদীর পৌর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এখনই খোলা হচ্ছে না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আক্তারুন্নাহারের সই করা পরিপত্রে বলা হয়েছিল, ‘১২টি সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদী জেলার পৌর এলাকা ব্যতীত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় সার্নিং সেন্টারগুলো ৪ আগস্ট থেকে শ্রেণি কার্যক্রম অনুমোদিত সময়সূচি অনুযায়ী চালু থাকবে। উপযুক্ত আদেশের আওতাভুক্ত সব জেলায় চলমান কারফিউর সময়সীমা বিবেচনায় রেখে শিখন-সময় সমন্বয়ের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্থানীয় বাস্তবতার আলোকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।’ তবে দেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাকি না হওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় এখনই খোলা হচ্ছে না।
গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ২৪ জুলাই বন্ধ করা হয় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এফএইচ