সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতই থাকবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নওফেল বলেন, পরিস্থিতি শান্ত হলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। আমরা চাইনা আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক। কেউ তার বাবাকে হারিয়েছে, বোন তার ভাইকে হারিয়েছে, স্ত্রী তার স্বামীকে হারিয়েছে। আর এমন অবস্থা হোক সেটি আমরা চাই না।
এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি আছে, তাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এইচএসসি পরীক্ষার রিশিডিউলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপনারা জানেন, বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেগুলোরও রিশিডিউল করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত এই মর্মান্তিক সময় আমাদের অতিবাহিত হয়েছে। যারা এই সময়ে নিহত এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত আছেন, বিশেষ করে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। যারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে গুলিবিদ্ধ ও আহত অবস্থায় আছেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও ঢাকা মেডিকেলের পরিচালকসহ আমরা সেসব রোগীদের দেখতে এসেছিলাম।
তিনি বলেন, আমরা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেছে এবং তাদেরকে কীভাবে মেরে হল থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী আইসিইউতে আছে। অনেক শিক্ষার্থী চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে গেছে। আমরা অনেক সাধারণ গুলিবিদ্ধ রোগীদের সাথে কথা বলেছি, তারা কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলো, কেন তারা ঢাকায় এলো সে বিষয়টি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খোঁজখবর নিচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই এই হত্যার সঙ্গে জড়িত আছে, আমরা বলেছি তাদেরও চিকিৎসা সেবা দিতে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলে বিভিন্ন স্থাপনাসহ এসব জায়গায় হামলা চালিয়েছে, এসবের সঙ্গে আমাদের কোমলমতি শিশুরা জড়িত নয়। এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ফাঁদে ফেলে একটি চক্র এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার-শুক্রবার তো রাস্তায় শিক্ষার্থী ছিল না, অনেকেই কী উদ্দেশ্যে ঢাকা এসেছিল, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এফএইচ