সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বিবেচনা করে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিপক্ষে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তবে কোথাও তাপমাত্রা যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশি হয়, তখন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্চলিক পর্যায়ে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে এবং সময়সীমাও পরিবর্তন করতে পারবেন।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীতে ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, যে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায় পাঁচটি জেলায় তাপমাত্রা ৪০–এর পর্যায়ে আছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বাংলাদেশে নতুন নয়। সুতরাং পাঁচটি জেলায় তাপমাত্রা ৪০-এর ওপরে যাওয়ার পূর্বাভাসের ভিত্তিতে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়াটা যুক্তিযুক্ত নয়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বিবেচনা করে সারা দেশের বিদ্যালয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। জনপ্রিয়তার আলোকে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। বাস্তবতার নিরিখে নিতে হবে। ঢাকা শহরের তাপমাত্রা সারা দেশের তাপমাত্রা নয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কয়েকটি জেলায় সেখানে তাপমাত্রা যদি অসহনীয় পর্যায়ে যায়, বিদ্যালয় সেখানে নিজস্ব পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এলাকাভিত্তিক যদি ৪২ ডিগ্রির ওপর তাপমাত্রা যায়, তাহলে সেখানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আছেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আছেন, তারা আঞ্চলিক পর্যায়ে আলোচনা করে সেই জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারেন এবং সময়সীমাও পরিবর্তন করতে পারেন। এটা অঞ্চল ভেদে।
শনিবার মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কিছু হলেই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার আলোচনা কেন? সবকিছু খোলা থাকবে আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, এ প্রত্যাশা যথাযথ নয়।
প্রসঙ্গত, তাপদাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন অনেক শিক্ষক-অভিভাবক। বিশেষ করে শনিবারও মাধ্যমিক স্তরে খোলা রাখার সমালোচনা করেছেন তারা। শিক্ষকরা প্রকাশ্যে কথা না বললেও বিভিন্নভাবে সমালোচনা করছেন।
চলমান তাপদাহের মধ্যে স্কুল খোলায় শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হলে তার দায় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
ডিপি/