দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, শহরের নির্ধারিত আয়ের মানুষ খুব বেশি চাপে আছে। বুধবার (২৬ জুন) সচিবালয়ের বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত তিন মাসে দুই বিলিয়ন করে রেমিট্যান্স এসেছে। যেটা পয়েন্ট টু পয়েন্ট ৩৮ শতাংশ গত বছরের এই সময় থেকে বেশি। এই পুরো দুই বিলিয়নই কিন্তু একেবারে গ্রামের অর্থনীতিতে গিয়ে হিট করে। এই রেমিট্যান্সটা শহরে আসে না, কোনো ব্যাংকে আসে না, গ্রামে চলে যায়। গ্রামের ওই সাধারণ মানুষটির ক্রয়ক্ষমতা এটার কারণেও বাড়ে।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ যারা উৎপাদন করে তারা কিন্তু শহরের ফিক্সড ইনকামের লোকের চেয়ে ভালো আছে। গ্রামে যারা অটো চালায় তারাও কিন্তু একটা গরু বা ছাগল পালন করে। বিকেল বেলা একটু খেতে যায় শস্য দেখতে। তাদের কিন্তু মাল্টিপল ইকনোমিক অ্যাক্টিভিটি আছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবির কর্মসূচি ছাড়াও শহরের মানুষের জন্য আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ন্যায্যমূল্যের দোকান করার পরিকল্পনা আছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, টিসিবির পণ্য বিক্রি নির্দিষ্ট স্থানে দোকানভিত্তিক কীভাবে করা যায়, দিনের শেষে লাইনে না দাঁড়িয়ে কার্ডটি দেখিয়ে একটি নির্দিষ্ট দোকান থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় যেন জিনিসটা নিয়ে যেতে পারেন। সারাদেশে প্রায় আট হাজারের মতো ডিলার রয়েছে। তাদের নির্দিষ্ট দোকানে আনা কষ্টসাধ্য। সেটি আমরা পর্যায়ক্রমে করে যাচ্ছি। কার্ডটাকে আমরা স্মার্ট করে দিচ্ছি।
আমদানিকৃত দুটি পণ্য চিনি এবং তেলের সরবরাহ ও দাম গত ৫/৬ মাস স্থিতিশীল আছে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করে। আমাদের কাছে টুলস যেটি আছে তা হলো- আমদানি করে কিছু পণ্য সংগ্রহ করতে পারি। আমরা টিসিবিকে অনেক শক্তিশালী করেছি।
এফএইচ