দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রাজধানীর বনশ্রীতে আয়না নুর ইসলাম নামে চার বছরের এক মেয়ে শিশুকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মা তাসনিম চৌধুরী ছোয়াকে (২৩) আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রমনার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় হাসনা ভিলা নামে একটি বাসা থেকে ওই শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করে খিলগাঁও থানা পুলিশ। এরপর রাত ১টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলজার হোসেন জানান, সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির চোখে ও মুখে জখম আছে। ধারণা করা হচ্ছে, চুল ধরে ওয়াল বা গ্রিলের সঙ্গে আছড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এসআই বলেন, শিশুটি তার বাবা এস এম আতিকুল ইসলাম ও মা তাসনিম চৌধুরী ছোয়ার সঙ্গে দক্ষিণ বনশ্রীর ১২ নম্বর রোডের এল ব্লকের একটি বাসায় থাকত। বাবা ফার্ম থেকে দুধ সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ শিশুটির মা ছোয়া মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে কয়েক মাস ধরে শিশুটির বাবা আতিকুল একাই সিদ্ধশ্বরী একটি বাসায় থাকতে শুরু করেন।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে ছোয়া নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তার স্বামী আতিকুলকে ফোন করে বলেন, তিনি সিদ্ধশ্বরীর বাসায় আসবেন। আতিকুল তাকে এত রাতে সেই বাসায় আসতে নিষেধ করেন। এরপর আতিকুল ফোনে তার স্ত্রীকে কল করে আর পাননি। শুক্রবার সকালে শিশুটির নানাসহ আত্মীয়-স্বজন বনশ্রীর বাসায় গিয়ে দেখেন, ওই বাসায় শিশু আয়না নুর অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পাশে তার মাও পড়ে আছেন। তখন দ্রুত শিশুটিকে একটি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। পরে মরদেহ সিদ্ধেশ্বরীতে বাবার কাছে নেয়া হয় এবং থানায় খবর দেয়া হয়। এরপর বনশ্রীর বাসা থেকে শিশুটির মা ছোয়াকে আটক করা হয় এবং সিদ্ধশ্বরীর বাসা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসআই আরও বলেন, শিশুটির বাবা জানান, তার স্ত্রীর নেশাগ্রস্থ থাকতেন সব সময়। এজন্য তিনি আলাদা থাকতেন। শিশু আয়না নুর ইসলাম হত্যায় তার স্ত্রীর সঙ্গে আর কেউ জড়িত থাকতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
কে