সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
এক কিশোরীকে (১৫) বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সাময়িক বহিষ্কার) মেহনাজ তাবাসসুম মিশু ও তার কথিত স্বামী আতিকুর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরীর মা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে- মিশু ও আতিক সাভারের বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাস করেন। মিশুর বাসায় অনেকের যাতায়াত আছে। তিনি অন্যদের সহযোগিতায় সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোকজনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে আনেন। পরে তাদের নগ্ন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিতেন মিশু ও তার সহযোগীরা।
মামলা দায়েরের পর ১৯ আগস্ট দুপুরে সাভার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে মিশুকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আদালত মিশুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২০ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জহুরুল ইসলাম মিশুর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম বুধবার (২৩ আগস্ট) আসামির উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
রিমান্ড শুনানিতে তাকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। আজ মিশুর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
এদিকে মিশুকে আটকের পর শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে যুব মহিলা লীগ থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেছেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর আমরা মিশুকে গ্রেপ্তার করেছি। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। তার রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বুধবার রিমান্ড শুনানি হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। এসব অপকর্মে কারা কারা জড়িত, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, মামলার এজাহারনামীয় অপর আসামি আতিকুর রহমান আতিককে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে তার বাসা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া যাই। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। অভিযান অব্যাহত আছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী এখনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তার মা বলেছেন, মেয়ের অবস্থা ভালো না। রাতে ঘুমোতে পারে না। ঘুমের ঘোরে চিল্লায়। কান্না করে। বলে, আম্মু আমি আর বাঁচব না। আমার মেয়ের সাথে যারা এমন করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই।
জেডএ