সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে চতুর্থ শ্রেণির তিনটি শূন্য পদের নিয়োগে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মাদরাসা সুপার ও সহসুপারকে অফিস কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় লোকজন।
সোমবার (৭ আগস্ট) উপজেলার ময়ামারি দাখিল মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে ওই দুজনকে উদ্ধার করে।
অবরুদ্ধ দুজনকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকবাল পাশা। তিনি বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর অবরুদ্ধ মাদরাসা সুপার ও সহসুপার পুলিশের মাধ্যমে মুক্ত হন।’
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, চতুর্থ শ্রেণির তিনটি শূন্য পদে নিয়োগের টাকা মাদরাসার উন্নয়ন তহবিলে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। মাদরাসার সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন ও সুপার মো. নুরুল ইসলাম ৩০ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র সাড়ে ৪ লাখ টাকা মাদরাসার তহবিলে জমা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদরাসার সুপার মো. নুরুল ইসলাম ও সহসুপার মো. আজিজুল ইসলামকে অফিসকক্ষে তালা মেরে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকার লোকজন। এ সময় মাদরাসার উন্নয়নে কাজ করার জন্য মাদরাসার তহবিলে বাকি টাকা জমা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুল হালিম টুটুল বলেন, ‘তিনটি পদে নিয়োগ দিতে তৎপরতা শুরু করেন মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, মাদরাসার সুপার ও সহসুপার। গত ২৭ মে তিন প্রার্থীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা করে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ দেন তারা। নিয়োগের টাকা মাদরাসার উন্নয়নের কথা বলে নেওয়া হয়েছে।’
মো. আব্দুল হালিম টুটুল আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে স্থানীয় লোকজন মাদরাসার সুপারের কাছে নিয়োগের টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় নেন তিনি। আজ আমরা সুপারের কাছে জানতে চাইলে সুপার বলেন, ‘আমি পারব না কমিটি আমার কথা শোনে না। তাই তাকে ও সহসুপারকে অফিসে তালা মেরে অবরুদ্ধ করা হয়।
মো. সাইরুল ইসলাম নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা মাদরাসার দাতা সদস্য। এখনো মাদরাসা আমাদের প্রায় ১৫ লাখ টাকার জমি কাগজপত্র ছাড়াই ভোগ করছে। জমির বিনিময়ে আমার ছোট ভায়ের চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিটি টাকার বিনিময়ে অন্যজনকে নিয়োগ দিয়েছে এবং আমাদের জমিও বুঝিয়ে দিচ্ছে না। ওই টাকা মাদরাসার ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দেননি।’
এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার মো. নুরুল ইসলাম ও সহসুপার মো. আজিজুল ইসলাম কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার না করার অনুরোধ জানান।
জেবি