সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নয় বছরের শিশু আমেনা খাতুনের ওপর রেগে যান মা রোজিনা বেগম। রেগে গিয়ে ঘাড় ধরে ঘুরিয়ে দিলে ঘাড় মটকে মারা যায় আমেনা খাতুন। অতঃপর অপরাধ ধামাচাপা দিতে মেয়ের আত্মহত্যার নাটক সাজান মা রোজিনা বেগম। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে। গত ২৫ জুলাই বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আমেনা খাতুন প্রবাসী মজনু খাঁ'র ছোট মেয়ে। আদালতের আদেশে এক দিনের পুলিশ রিমান্ড প্রাপ্ত হয়ে ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার।
পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৫ জুলাই বিকেলে আমেনা খাতুন আত্মহত্যা করেছে মর্মে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত দেখে ও শুনে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় মজনু খাঁর মা, পুত্রবধূ রোজিনা ও বাঘারপাড়া থানার ফলসি গ্রামের নুর জালাল বিশ্বাসের ছেলে গ্রাম্য ডাক্তার মজনুকে সন্দেহ করে এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় এজাহার দায়ের করে।
মামলার এজাহারে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মা রোজিনা বেগম ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহ করার জন্য বিভ্রান্তমূলক তথ্য দেয়। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আদালতের আদেশে এক দিনের পুলিশ রিমান্ডপ্রাপ্ত হয়ে ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রোজিনা বেগম নিজের দোষ স্বীকার করে জানায়, মেয়ের ওপর রেগে গিয়ে ঘাড়ে হাত দিয়ে ঘুরিয়ে দিলে মেয়ের ঘাড় মটকে মারা যায়। পরে মা রোজিনা মেয়ে হত্যার দায় থেকে বাঁচতে লাকড়ি রাখার ঘরে রশি টাঙিয়ে মেয়েকে ফাঁস লটকায় এবং আত্মহত্যা বলে চিৎকার করতে থাকে। এ ঘটনার পরে রোজিনা বেগমকে নিয়ে এলাকায় গিয়ে তদন্তে সত্যতা পেয়ে রোজিনা বেগমকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।
জেবি