দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পাহাড়ধসের আশঙ্কায় মাইকিং শুরু করছে বান্দরবান পৌরসভা। শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বান্দরবান সদর উপজেলার কালাঘাটা, কাসেমপাড়া, ইসলামপুর, বনরূপা পাড়া, হাফেজঘোনা, বাস-স্টেশন এলাকা, স্টেডিয়াম এলাকা, নোয়াপাড়া, কসাইপাড়া, রুমা উপজেলার হোস্টেলপাড়া, রনিনপাড়া, লামা উপজেলার হরিনমারা, তেলুমিয়া পাড়া, ইসলামপুর, গজালিয়া, মুসলিম পাড়া, চেয়ারম্যানপাড়া, হরিণঝিড়ি, টিঅ্যান্ডটি এলাকা, সরই, রুপসীপাড়া, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উত্তরপাড়া, বাইশফাঁড়ি, আমতলী, রেজু, তুমব্রু, হেডম্যানপাড়া, মনজয় পাড়া, দৌছড়ি, বাইশারীসহ সাতটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে তুলেছে প্রায় ৩০ হাজারেরও অধিক পরিবার। এসব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
পৌরসভা বালাঘাটা এলাকার এজহার মিয়া জানান,অর্থাভাবে কম দামে পাহাড় থেকে জায়গা কিনেছি। ঝুঁকি আছে জেনেও পাহাড়ের নিচে একটু জায়গা সমান করে পরিবার নিয়ে কোনো রকমে বসবাস করছি।
বান্দরবান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে- বঙ্গোপসাগরে নিম্ন লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে কোথাও মাঝারি ও আবার কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বান্দরবানের মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত পরিমাণে পাহাড় কাটার ফলে মাটির ওপরের রক্ষাস্তর সরে ভেতরের নরম অংশ বেরিয়ে আসে। এর ফলে ভূমিক্ষয়ের মাধ্যমে পাহাড়ে ফাটল তৈরি হয়। এ অবস্থায় বর্ষার ভারী বর্ষণে ফাটলে পানি ঢুকে পাহাড়ধস হয়। এছাড়া পাহাড়ধসের অন্যতম কারণ হচ্ছে ভূমিকম্প, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন এবং অতিবৃষ্টি অন্যতম।
জেলা তথ্য অফিস সূত্র জানায়, গত ৫ বছরে বান্দরবানে পাহাড়ধসে ২১ জন নিহত হন। এরমধ্যে ২০১৭ সালের ১৩ জুন সদরের কালাঘাটায় ৭ জন, রুমা সড়কে ২৩ জুলাই ৫ জন, ২০১৮ সালের ৩ জুলাই কালাঘাটায় ১ জন ও লামায় ৩ জন, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই লামাতে ১ জন, ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর আলীকদমের মিরিঞ্জা এলাকায় ১ জন ও ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সাইঙ্গ্যা ঝিরিতে একই পরিবারের ৩ জন।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নেজারত ডিপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা সব বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনওকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেবি