সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বৃষ্টি ও জলজটে একাকার চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল। রাতভর বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অলি-গলি। ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা ও নোংরা পানি এখন সড়কে। এতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল থাকায় পানি সরতে না পেরে অনেক ঘর ও দোকানপাটের ভেতর পানি ঢুকে গেছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ সুমন সাহা।
তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, নগরের বাকলিয়া, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, শুলকবহর, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প চলমান থাকায় নগরের বেশিরভাগ এলাকার নালাগুলো দিয়ে পানি যথাযথভাবে নামতে পারে না। একারণে অল্প বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের নিয়মিত ঘটনা।
স্থানীয় একজন বলেন, আমরা থাকি নগরের বাদুড়তলা এলাকায়। আজ সকালে রিকশা দিয়ে কাতালগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলাম। এখান থেকে ওখানে অন্যান্য দিনে রিকশাওয়ালারা ভাড়া নেন ৪০ টাকা। কিন্তু আজ দিতে হয়েছে ৭০ টাকা।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি বলেন, বাংলাদেশের ওপর এখন মৌসুমি বায়ু সক্রিয়। একারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা আরও দুই থেকে তিনদিন এভাবে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হতে পারে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আরএ