সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
‘আমি আসছি জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার জন্য। আমার কোনো কষ্ট নাই। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা সৈনিক। আমি শেখের বেটিকে এক নজর দেখার জন্য আসছি।’ উৎফুল্লতা নিয়ে এই কথাগুলো বলছিলেন ভাষা সৈনিক, একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মজিবুর রহমান মাস্টার।
৯৬ বছর বয়সে শরীরে নানা অসুস্থতা নিয়েও রংপুর জিলা স্কুল মাঠে শেখ হাসিনার জনসমাবেশে এসেছেন তিনি। বুধবার সকাল ১০টায় রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে দেখা হয় তার সঙ্গে।
এ বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও তিনি বদরগঞ্জ থেকে সকালে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে এসে পৌঁছেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আজ তার মেয়ে শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন।
সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখার আশা ব্যক্ত করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মজিবুর রহমান মাস্টার।
নগর ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আগমনে নগরজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। দুপুর ১২টার আগেই জনসভাস্থলসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে নেতা-কর্মীদের ঢল রয়েছে। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দলে দলে নেতা-কর্মীরা যাচ্ছেন জনসভাস্থল জিলা স্কুলের দিকে। বাহারি সাজসজ্জা আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বিভিন্ন স্লোগানে নেচে গেয়ে উচ্ছ্বাস করছেন তারা।
এ দিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘জনসভাকে ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ ও মোড়ে মোড়ে রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। উঁচু ভবনের ছাদে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর প্রতি ফ্লোরে ফ্লোরে প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনসভাস্থল, পুরো শহর এবং সার্কিট হাউস পুরোটাই আমরা সিসিটিভির কাভারেজে এনেছি। সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ১ হাজারেরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ডিজিটালি মনিটরিং করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠের ভেতরে এবং বাইরে রয়েছে। সঙ্গে আয়োজকদের স্বেচ্ছাসেবকেরাও আছেন।’
সমাবেশের সময়সূচি অনুযায়ী, দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে রংপুরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দুপুর ২টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর ক্যান্টনমেন্টের হেলিপ্যাডে অবতরণ করবে। দুপুর ২টা ৫ মিনিটে সেখান থেকে সড়কপথে রংপুর সার্কিট হাউসের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে সার্কিট হাউসে পৌঁছে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর বিকেল ৩টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাসমাবেশস্থলে পৌঁছাবেন। প্রথমে সেখানে রংপুর বিভাগের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
সফরে রংপুরের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের ঘোষণা দেবেন সরকার প্রধান। মহাসমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার পর বিকেলে আবার একই পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।
জেবি