সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
প্রেম এবং শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। এমন দাবি করে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন মেয়ের চাচা পিয়াস। কিন্তু বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আবু বক্কর ছিদ্দিক নামে এক যুবককে অপহরণ করে পিয়াস। বিয়ে না করলে তার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে সে। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে অপহৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের মা বিবি জয়নব ৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
সেদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মো. হানিফের ছেলে আবদুর রহিম রায়হান (১৯) ও রামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মুসা মিয়ার ছেলে শেখ ফরিদ শামীম (২৮)। তবে মামলার প্রধান আসামি মো. পিয়াস ও শিপন প্রকাশ চায়না শিপনসহ অপর আসামিরা পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নতুনবাজার মধ্য-চরকাঁকড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে অপহরণ ঘটনার মূল নায়ক মো. পিয়াস মোবাইল ফোনে ভিকটিম আবু বক্কর ছিদ্দিককে ডেকে নেয়। এ সময় পিয়াস তার ভাতিজির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে ভিকটিম আবু বক্কর ছিদ্দিককে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। বিয়ে করতে অস্বীকার করলে তাকে মারধরের পর অপহরণ করে একই এলাকার আবদুর রহিম রায়হান নামে এক যুবকের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। বিয়ে না করলে তার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন পিয়াস।
এ ঘটনায় অপহৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের পরিবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চরকাঁকড়া নতুনবাজার এলাকা থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত আসামি আব্দুর রহিম রায়হান ও শেখ ফরিদ শামীমকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণ ঘটনার মূলহোতা পিয়াসসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে অপহৃত সিদ্দিককে দ্রুত উদ্ধার ও অপহরণকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এফএইচ