দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার এলজিইডি’র রাস্তার কার্পেটিং কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার কার্পেটিং কাজ তদারকিতে উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও স্বজনপ্রীতি থাকায় কাজে চরম অনিয়ম হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দলদলী ইউনিয়নের ভোলাহাট-রহনপুর মূল সড়ক থেকে খরকপুর গ্রামের মাজেদার বাড়ি পর্যন্ত ৪২০ মিটার রাস্তার কার্পেটিং প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি টিপু সুলতানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হচ্ছে। তবে কাজের কোনো বিবরণী বোর্ড দেখা যায়নি। প্রকল্পের তথ্য জানতে চাইলে দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলী তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে বলেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেসব অংশে কাজ শেষ হয়েছে সেসব স্থানে হাত দিয়ে টান দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। কার্পেটিং কাজ শেষ হতে না হতেই পুরো রাস্তা ভেঙে খানা-খন্দ তৈরি ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। কতটা দুর্নীতি ও অনিয়ম হলে রাস্তাটি এমন পরিণত হয়। রাস্তাটি সংস্কারে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছে, তাই হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং।
শাজাহান আলী নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই রাস্তার কাজে শুরু থেকেই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে আসছে। রাস্তার কার্পেটিংয়ে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। যে কারণে হাত দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
মো. আব্দুর জাব্বার বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘ দিন থেকে ভাঙা ছিল। নতুন করে নিম্নমানের ইট খোয়া দিয়ে কার্পেটিং করছে। পর্যাপ্ত বালি ও পানি দেইনি। রাতের আঁধারে হালকা করে কালো মবেল ছিটিয়ে সকাল থেকে কার্পেটিং করা শুরু করে। এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার কাজ অব্যাহত রেখেছে।
সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মো. লোকমান আলী বলেন, রাস্তাটি কাজ হচ্ছে নিম্নমানের। তিন নাম্বার ইট দিয়েছে, পানি বালি কিছু নাই। সাইডের ইটগুলো উঠে যাচ্ছে। রোলার দিয়ে ভালোভাবে ডলা হয়নি। এলাকাবাসী তাদের বলাতে আইনের হুমকি দেয়। কোনো সিডিউল বোর্ড নাই। আমরা চাই মানসম্মত কাজ হোক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডি অফিসের একজন বলেন, ডব্লিউ বিএম পানি দিয়ে ভালোভাবে সমান করে তেল দেওয়ার পরে কার্পেটিং করতে হতো। এগুলো ভালোভাবে না করার জন্য কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
রাস্তায় দায়িত্বরত ভোলাহাট উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুজন রেজা বলেন, এটা ছোট কাজ হওয়ায় কাজের বিবরণী বোর্ড টাঙানোর কোনো নির্দেশনা নাই। কাজ সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পরও এলাকাবাসী বাধা দিলে পুলিশ ডাকার কথা বলি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার টিপু সুলতান বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় কাজের কাছে যেতে পারিনি। অফিস স্টিমেটের বাইরে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। এখানে আমার আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা লস হবে। তারপরও এলাকার লোকজন কাজে বাধা দিচ্ছে।
ভোলাহাট উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আহারাম আলীর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর মেলেনি।
আরএ