দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদের গণ-ধর্ষণের শিকার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে দেখতে পটুয়াখালী গিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে যান তিনি।
এ সময় হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীর খোঁজ খবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক সহযোগিতা ও পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে সংবাদ সম্মেলন করে পালাতক আসামিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলামের সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব তামিম আহমেদ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব জাহিদ হাসান।
এদিকে এ ঘটনায় দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। এসময় তিনি বলেন, অপরাধীদেরকে কেউ কেউ বিএনপি পরিবারের সদস্য বলে অপপ্রচার করছেন। মূলত দলীয় ট্যাগ লাগালে অপরাধীরা লাভবান হয়। সুতরাং অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় নয়।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী সাবেক পৌর মেয়র মোস্তাক আহমেদ পিনু, পিপি অ্যাড. মুজিবুর রহমান টোটন, যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, ভারপ্রাপ্ত সহ-সভাপতি আল কায়সার শিপলু খান, বশির মৃধা, নাসির খন্দকার, সানি, জাকারিয়া সহ আরো অনেকে।
পরবর্তীতে বিকেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সে পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন হাসান মামুন।
এরআগে সকাল ৯টায় হাসপাতালে ভিকটিমকে দেখতে যান জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। এসময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান মুঠোফোনে ভুক্তভোগীর মায়ের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর নেন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ভবিষ্যতে পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন জামায়াত আমির।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া গ্রামে নিহত পিতার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়ি যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী কিশোরী। এসময় একই এলাকার মুন্সিবাড়ির কাছে পৌঁছলে স্থানীয় মৃত মামুন মুন্সীর ছেলে সাকিব মুন্সী (১৯) ও সোহাগ মুন্সীর ছেলে সিফাত মুন্সী (২০) তাঁর মেয়ের হাত পা চেপে ধরে সড়কের পাশের একটি নির্জন বাগানে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর মেয়েকে ধর্ষন করে তাঁরা। এসময় ওই দুই যুবক ধর্ষনের ভিডিও তাদের মোবাইলে ধারণ করে মুখ বন্ধ রাখতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। মামলার পরপরই সাকিব মুন্সিকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং বাকি আসামিকে গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ।
এফএইচ/