দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম (৬৪) ও তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর (৪৯) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বাদী হয়ে ফেনীর বিশেষ জজ আদালতে মামলা দুটি দায়ের করেন।
এতে সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ টাকা এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্জনের তথ্য পায় সংস্থাটি।
অভিযুক্ত আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনীর পরশুরাম উপজেলার গুথুমা গ্রামের সালেহ উদ্দিন আহমদের ছেলে। তিনি সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার এক সময়ের প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজু একই গ্রামের মো. আবু তাহের চৌধুরীর মেয়ে। তিনি ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক।
দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের আদালত পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. ইদ্রিস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফারুক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান অনুসন্ধান করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ১৯৮৬ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি ২৩ বছর পর ২০০৯ সালে যুগ্ম-সচিবের পদ থেকে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। পরে আওয়ামী লীগের যোগ দিয়ে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ২০২৪ সালে ফেনী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি ফেনী, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোট ১২৬টি দলিলের মাধ্যমে পাঁচটি ফ্ল্যাট এবং দুটি প্লটসহ মোট ৩৯ কোটি আট লাখ ৪৪ হাজার ৬০৫ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেন।
এ ছাড়া তার নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১০৮ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া যায়। অন্যদিকে ১৫টি কোম্পানিতে ৩৪ কোটি ৬২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৪ টাকার শেয়ার, তার নামে ঢাকা-চট্টগ্রামে ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬ টাকায় ১০টি ক্লাবের সদস্যসহ স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৩ টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয়সহ এ হিসেবের পরিমাণ ১০২ কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪৯১ টাকা।
অপরদিকে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর নামে ফ্ল্যাট, প্লট ও জমিসহ মোট ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরএ