দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জামালপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে এক নারীকে গলাচেপে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল করিম সুমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস বন্যা বাদী হয়ে সদর থানায় সুমনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০—৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার শহরের রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন শাহপুর এলাকায় জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে জমি বেদখল দিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আরিফুল আলম চিকু ও তার লোকজন বাড়িঘর ভাঙচুর করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। এসময় বিষয়টি জাহাঙ্গীরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বন্যা থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আরিফুল আলম চিকুকে আটক করে। পরে তাকে ভ্যানে উঠিয়ে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে চিকুর মামাতো ভাই জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল করিম সুমন লোকজন নিয়ে চিকুকে ছিনিয়ে নেয়। তখন সুমন জান্নাতুল ফেরদৌস বন্যাকে গলাচেপে ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেন এবং গালমন্দ করেন। পরে পুলিশ তাদের গাড়ি করে বন্যাকে অন্যত্র সরিয়ে নেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস বন্যা বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমি যুবলীগ নেতা চিকু ছাত্রদল নেতাকে আর্থিকভাবে প্রভাবিত করে তার পক্ষে নিয়ে অবৈধ বেদখল করে সীমানা প্রাচীর নিমার্ণের চেষ্টা চালান। পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করার পর তারা চিকুকে আটক করলে ছিনিয়ে নেয় সুমন। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরুপায় হয়ে পড়ে। মামলা করার পর তাদের অব্যাহত হুমকির মধ্যে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল করিম সুমন বলেন, বন্যার প্লটের সঙ্গে আমার ফুফাতো ভাই চিকু ৭/৮ বছর আগে এক দশমিক ৩৭ পয়েন্ট জমি ক্রয় করে স্থানীয় হীরার কাছ থেকে। ৩৭ পয়েন্ট জমি নিয়ে চিকু এবং বন্যার মধ্যে বিভেদ চলছিল। ঘটনার দিন আমি বিচারকের ভূমিকায় ছিলাম। তবে পুলিশ এসে চিকুকে আটক করলে স্থানীয়রা তাকে ছিনিয়ে নেয়। আমি শুধু দাঁড়িয়ে ছিলাম। মামলায় বন্যা যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। উভয়পক্ষকে নিয়ে আজ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বসেছিলেন। আশা করছি আগামী শুক্রবার নতুন করে জমি পরিমাপ করলে সমাধান হয়ে যাবে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে শুনেছি উভয়ের মধ্যে আপোষ—মীমাংসার জন্য আলোচনা চলছে।
গাড়ি থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে গিয়ে একজনকে আটক করেছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তি অপরাধী না হওয়ায় তাকে পুলিশই ছেড়ে দিয়েছে।
আরএ