দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ‘ফ্রি ফায়ার’ গেম খেলতে না দেওয়ায় বন্ধুকে হত্যার দায়ে এক কিশোরকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জেলা ও দায়রা জজ এবং শিশু আদালতের বিচারক মো. আসাদুল্লাহ এই রায় দেন।
আদালত পেনাল কোডের ৩০২ ও ২০১ ধারায় ওই কিশোরকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। পাশাপাশি বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাকে যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার আদেশ দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মাঝি বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ও নদমূলা গ্রামের লোকমান হাওলাদারের ছেলে শান্ত হাওলাদার (১৪) তার স্মার্ট ফোনে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে ‘ফ্রি ফায়ার’ নামক গেম খেলতো। তবে সাজাপ্রাপ্ত আবিরের কোনো ফোন ছিল না। তাই শান্তকে হত্যার একমাস আগে আবির গেম খেলার জন্য শান্তর কাছে মোবাইল ফোনটি চেয়েছিল। তবে শান্ত তা আবিরকে না দেওয়ায় তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরই জেরে ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর একটি স্মার্ট ফোন দেখানোর কথা বলে আবির কৌশলে শান্তকে বাড়ির কাছে একটি বাগানে নিয়ে যায়। এরপর শান্ত থেকে ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে নালার মধ্যে ফেলে পানিতে চেপে ধরে শান্তর মৃত্যু নিশ্চিত করে সে। পরে শান্তর মরদেহটি সেখানেই নালার মধ্য লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
এদিকে অনেক রাত পর্যন্ত শান্ত বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। পরের দিন দুপুরে স্বজনরা শান্তর মরদেহ নালার মধ্যে দেখতে পেয়ে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় ওই দিন শান্তর বাবা লোকমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চারমাস পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে সব তথ্য প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে আদালত আবিরকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন।
আরএ