দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পটুয়াখালীতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরীফ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালী শহরের কাজী কাজীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জামায়াত নেতারা জানান, রাত ১০টার দিকে কাজীপাড়ায় অবস্থিত জেলা জামায়াতের অস্থায়ী কার্যালয়ের মধ্যে বসা ছিলেন কয়েকজন নেতাকর্মী। এসময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরিফ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে অ্যাড. মাহবুবুর রহমান সুজন, অ্যাড. মিজান মাস্টার, অ্যাড. আরিফ হোসেনসহ ১০ থেকে ১৫ জন লোক মোটরসাইকেল করে আসেন। এরপর জামায়াতের কার্যালয়ের নিচে দাঁড়িয়ে দরজা ধাক্কাতে থাকে এবং অকথ্যভাষার গালিগালাজ ও হামলার হুমকি দিতে থাকেন। এসময় ভেতরে থেকে জামায়াত কর্মীরা মোবাইল ফোনে নেতৃবৃন্দকে জানালে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। ততক্ষণ সটকে পরেন অভিযুক্তরা।
পরে কার্যালয়ে সামনে থেকে তাৎক্ষণিক একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের সবুজবাগ ও ঝাউতলা এলাকা প্রদক্ষিণ করে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের অবস্থিত অ্যাডভোকেট শরিফ সালাউদ্দিনের অফিস লক্ষ্য করে সোনালী ব্যাংক মোড় পর্যন্ত পৌঁছালে সেখানে জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান এসে আটকে দেয় । তিনি বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের গতিরোধ করে দাঁড়ান। পরে সেখানেই সমাবেশের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন- জেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সোহাগ, পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল বাশার, ছাত্র শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাশার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি সাইদুর রহমান খান পাবেল।
এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান বলেন, হঠাৎ করেই আমার কাছে ফোন আসে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে সামনে গিয়ে অ্যাডভোকেট শরিফ সালাউদ্দিনসহ কয়েকজন লোক গালিগালাজ করছেন এবং হামলার হুমকি দিচ্ছেন। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা ছুটে গেলে পালিয়ে যায় তারা। এরপর আমাদের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আইনজীবী সমিতির দিকে এগুলো আমি সোনালী ব্যাংকের মোড়ে তাদেরকে থামিয়ে নিয়ে আসি। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গেলে আমাদের আইনজীবীদের ওপর হামলা করে তারা। আমাদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীসহ তিন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র উত্তোলনই করতে দেয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরিফ সালাউদ্দিন জানান, আমরা নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে কাজী পাড়া হয়ে মোটরসাইকেলে ফিরছিলাম। পথিমধ্যে থামছিলাম। জামায়াত কার্যালয়ে হামলা করতে যাব কেন? প্রশ্নই আসেনা হামলা চেষ্টার।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের ওপর হামলা করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাঁধা দেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। পরে এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে জামায়াতের ল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ১১ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার জেলা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারিসহ ১১ জনকে আসামি করে পাল্টা মামলা দায়ের করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী ফোরাম।
আরএ