দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চরম বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে বরিশাল বেলর্স পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিপিএল চ্যাম্পিয়ান দল ফরচুন বরিশালের ট্রফি প্রদর্শন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ফেলা হয়।
বিশৃঙ্খলাকারীরা নারী দর্শকদের হেনস্তার পাশাপাশি সাংবাদিকদের ট্রাইপট ও বিভিন্ন সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি করে। আহত হন বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীসহ অর্ধশত দর্শক। তবে বিশৃঙ্খলার মধ্যেও বিপিএল ট্রফি ও খেলোয়াড়দের দেখতে পেরে খুশি ক্রিকেট প্রেমিরা। দাবি তোলেন, আগামীতে বিপিএল খেলা যেন বরিশালের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে উল্লাসের দৃশ্য দেখা গেছে বরিশাল বেলর্স পার্কের বিপিএল চ্যাম্পিয়ান দল ফরচুন বরিশালের ট্রফি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে। চরম বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পরপর জয়ী ২টি ট্রফিই প্রথমবারের মতো পুরো দলসহ প্রদর্শিত হলো বরিশালে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে ট্রফি প্রদর্শনী দেখতে ভিড় করতে থাকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রিকেট প্রেমিরা। বিকেল ৪টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সদস্যদের উপস্থিতির মধ্যেই নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে মঞ্চের কাছাকাছি চলে আছে দর্শকরা। মুসফিক, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদসহ খেলোয়াড়েরা মঞ্চে ওঠার সাথে সাথেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।
এ সময় বিশৃঙ্খলকারীরা নারী দর্শকদের হেনস্তার পাশাপাশি সাংবাদিকদের ট্রাইপট ও বিভিন্ন সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি করে। আহত হন বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীসহ অর্ধশত দর্শক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত মঞ্চ ত্যাগ করেন সবাই।
মাই টিভির বরিশাল ব্যুরো প্রধান পারভেজ রাসেল বলেন, আমার কটলেস বুম ছিনতাই হয়েছে ও ট্রাইপট ভেঙে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এখন বাসায় আছি। নিরাপত্তা ছাড়া এমন অনুষ্ঠান এর আগে বরিশালবাসী দেখিনি।
এখন টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ট্রাইপট ভেঙে গেছে। আমি ও রিপোর্টার অমিত হাসান কোনোমতে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছি। হয়তো আর একটু হলে মৃত্যু নিশ্চিত ছিল।
এখন টেলিভিশনের রিপোর্টার অমিত হাসান বলেন, আমি গুরুতর পায়ে ও হাতে আঘাত পেয়েছি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এখন বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছি। এতো বড় অনুষ্ঠানে এমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দুঃখজনক।
দেশ টিভির চিত্র সাংবাদিক শাহীন সুমন বলেন, কোনোমতে জীবন নিয়ে ফিরেছি। আর একটু হলে হাত ভেঙে যেত। নিরাপত্তার বিষয়টি লক্ষ্য রাখা জরুরি ছিল।
যমুনা টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান কাওছার হোসেন বলেন, আমার ট্রাইপড ও ক্যামেরা সেভ করতে গিয়ে আমি পড়ে যাই। একটুর জন্য গুরুতর আহত হইনি। নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদার করা উচিত ছিল।
চ্যানেল ২৪’র ব্যুরো প্রধান কাওছার হোসেন রানা বলেন, আমার ট্রাইপড ভেঙেছে। ক্যামেরা সেভ করতে গিয়ে আহত হয়েছি। এতো বড় অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদার করা উচিত ছিল।
সাব্বির নামে এক দর্শক জানান, কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছে। নারী দর্শকদের হেনস্তা করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল।
নাবিলা নামে নারী দর্শক জানান, যা হয়েছে সেটা দুঃখজনক। তবে আগামীতে বিপিএল খেলা যেন বরিশালের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় সেটা দাবি থাকবে।
ফরচুর বরিশাল টিমের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান জানান, জাতীয় টিম বিদেশি খেলোয়াড়সহ ২২ জন, টিম ম্যানেজার ও কোচসহ আরও ৪০ জনের একটি দল বরিশালে আসেন। তবে বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়ে জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে আবার ফোন দিলে রিসিভি করেননি তিনি।
আরএ