দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাগেরহাটে ফকিরহাটে ছাত্র জনতাকে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ এবং স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ তন্ময় এবং সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রফিকুল ইসলাম মিঠু নামে এক ব্যক্তি ফকিরহাট থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্বর এলাকায় আসামিরা জড়ো হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে এবং ছাত্র জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ও হত্যার উদ্দেশে একাধিক বোমা ছোড়া হয়।
মামলার অন্যান্য আসামির মধ্যে রয়েছেন- বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি মীর শওকত আলী বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, যুবলীগ নেতা সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাস এবং আরও অনেকে।
এছাড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকার কারণে ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবির বলেন, ‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ এবং স্থাপনা ধ্বংসসহ কয়েকটি অভিযোগে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আরও কয়েকজন আসামি বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন, তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
আরএ