দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যা দাবি, ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ঢাকা থেকে লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফত অনুষ্ঠিত হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাই স্কুলে জেয়াফতের অংশ হিসেবে গরু জবাই করে ভোজের আয়োজন করা হয়।
‘বাংলাদেশের জনগণ’ নামের একটি সংগঠন এই লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফতের আয়োজন করে। দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। দুপুরে একটি মিছিল বের হয়ে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় সবার হাতে হাতে ভারতবিরোধী ও আগ্রাসনের প্রতিবাদের লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
এর আগে, শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চটি সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ মডেল সরকারি হাই স্কুলে পৌঁছায়।
জেয়াফতে অংশগ্রহণ করতে আসা বিনোদপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ সীমান্তের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বলেন, ৫,৬ ও ১৮ জানুয়ারি কালিগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় ভারতীয়রা আগ্রাসন চালিয়েছিল। এই আগ্রাসন বিরোধী কার্যক্রম স্থানীয়রা প্রতিহত করেছিল। আর যারা এই ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিহত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্য এখানে প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। সেজন্য আমরা এখানে এসেছি এবং আমাদের এই প্রোগ্রাম আমাদেরকে উৎসাহিত এবং উজ্জীবিত করার জন্য আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ সংগঠনের প্রতিনিধি ওয়ারেছুল ইসলাম নাসির বলেন,ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যা এবং ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে সীমান্তের নাগরিকদের সচেতন, সজাগ ও উদ্বুদ্ধ করতেই এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা পুরো দেশের নাগরিকরা সীমান্তবাসীর পাশে রয়েছি। পাশাপাশি সীমান্তে সকল ধরনের আগ্রাসন ও হত্যা বন্ধের হুঁশিয়ারি জানাই।
এই সময় লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফতে অংশগ্রহণকারীরা ‘কাঁটাতারের ফেলানী আমরা তোমাকে ভুলিনি’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও জনগণ, ‘সীমান্তে হত্যা বন্ধ করো, করতে হবে’, ‘বেশি করে গরু খান, আগ্রাসন রুখে দেন’, ‘দিল্লি না, ঢাকা ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’-সহ নানান ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।
আমজনতা পার্টির সদস্যসচিব তারেক রহমান বলেন, বগুড়াতে হিন্দু রাজার নিপড়নের বিরুদ্ধে গরু জবাই করেছিল। আর এই জিয়াফতটা অনেক আগে থেকে প্রচলিত ছিল। ভারত তার গরু রাজনীতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও মুসলমানকে নিপীড়িত করে। তার প্রতিবাদেই আমাদের এই জিয়াফত কার্যক্রম। আমাদের কার্যক্রম হিসেবে গরু জবাই হবে, আলোচনা হবে এবং নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। এছাড়া সীমান্তে যারা নিহত হয়েছিল তাদের নামে আজকে সন্ধ্যার দিকে ফানুস উড়াব। শহীদদের সম্মানে তার নাম লেখা ফানুস আকাশে উড়িয়ে দেব।
/অ