দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের দুই পক্ষের মারামারিতে ৪ জন আহতের ঘটনায় পদ হারিয়েছেন কৃষক দলের দুই নেতা। এর মধ্যে এক নেতাকে বহিষ্কার ও আরেক নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর মধ্যে একটিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ফরিদপুর মহানগর শাখার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. ফরিদ শেখকে কৃষক দলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
অপরদিকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সংগঠন পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদপুর মহানগর শাখা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জহিরের পদ স্থগিত করা হয়। জহিরুল ইসলামকে স্থায়ীভাবে কেন সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে আগামী ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শীয়ে একটি লিখিত জবাব স্ব-শরীরে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখ জানান, জহিরুলের সমর্থক জাফর শেখ আমার সমর্থক খসরুর একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এটা ফেরত চাওয়ায় জহিরুল আর জাফর মিলে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ সঠিক নয়।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুর সদরের বাহিরদিয়া বাজারে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ও একই কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখের অনুসারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
আরএ