দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জামালপুরের মেলান্দহে দাফনের পাঁচ মাস ২৫ দিন পর আদালতের নির্দেশে জামালপুরের মেলান্দহ থেকে জুলাই অভ্যুত্থানে আশুলিয়ায় নিহত সবুজ মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোঁচা ইউনিয়নের পূর্ব কোনামালঞ্চ এলাকা থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ।
নিহত মো. সবুজ মিয়া জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোঁচা ইউনিয়নের পূর্ব কোনামালঞ্চ এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতো।
এজাহারে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির মিছিলে গিয়ে আশুলিয়া থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সবুজ মিয়া। পরে সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। পরদিন ৬ আগস্ট নিজ গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রশাসনসহ পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা।
নিহত সবুজ মিয়ার মা জরিনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের আমি ফাঁসি চাই। আমি সরকারের কাছে সঠিক বিচার চাই।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টের কাজ শেষ হলে লাশ দাফন করা হবে।
মেলান্দহ সহকারী ভূমি কমিশনার (ভূমি) তাসমীন জাহান বলেন, কোর্টের আদেশ নিয়ে নিহতের লাশ উত্তোলন করা হয়।
উল্লেখ্য, সবুজ মিয়া হত্যার ঘটনায় আশুলিয়া থানায় ৫১ জন আসামির নামে মামলা দায়ের করেন তার মা জরিনা বেগম।
আরএ