দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
অতীতে করতেন বিএনপি। কিন্তু বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি নিজের আদর্শ পাল্টে হয়ে যান আওয়ামী লীগ নেতা। স্থানীয় সংসদসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রয়েছে সুসম্পর্ক। কিন্তু ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এবার আবারো নিজের মতাদর্শ পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দীপক বড়ূয়ার বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগের সময়ে ২০১৯ সালে দীপক বড়ূয়াসহ তার স্বজনরা ইমন বড়ূয়া নামে আরেক প্রতিবেশীকে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু ৫ আগস্ট দেশে পটপরিবর্তনের পর আগের মতো আবারও নিজের মতাদর্শ পাল্টাতে শুরু করেন। যোগাযোগ রক্ষা করছেন বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গেও।
অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদনও করেছেন তিনি। এই নিয়ে রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাব কনফারেন্স রুমে ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে।
ভুক্তভুগি পরিবারের পক্ষে নিহতের বোন পুতুল রানী বড়ূয়া জানান, ২০১৯ সালে ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয়পাড়ায় ইমন বড়ুয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করেন ঘুমধুম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দোসর দীপক বড়ূয়াসহ তার স্বজনরা। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এই পর্যন্ত ১২জন সাক্ষী ভিক্টিমকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার বিষয়ে সুস্পষ্ট সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু মামলার শেষ পর্যায়ে এসে ওই হত্যা মামলাটি রাজনৈতিক মামলা হিসেবে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য আসামিরা তদবির শুরু করেছেন।
মূলত হত্যা মামলার প্রধান আসামি দীপক বড়ুয়া দীর্ঘকাল ধরে দলীয়ভাবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও বর্তমানে নির্লজ্জভাবে মিথ্যার আশ্রয়ে আসামিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এসময় ভুক্তভোগী পরিবার দীপক বড়ুয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতার বিভিন্ন তথ্যচিত্র তুলে ধরেন এবং আসামিরা অব্যাহতি পেলে তাদের পুরো পরিবার হত্যার শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এফএইচ/