সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মিয়ানমারে পণ্য পাচার ও গরু আনতে গিয়ে পৃথক মাইন বিষ্ফোরণের ঘটনায় ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আলী হোসেন (৪০) নামে এক বাংলাদেশী নাগরিকের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় মিয়ানমার বিদ্রোহীদের পুতে রাখা মাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আলী হোসেন আশারতলী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্তের আরেকটি পয়েন্ট জামছড়ি এলাকায় মাইন বিষ্ফোরণে আরিফ উল্লাহ (৩০) নামে আরেক বাংলাদেশির শরীর ও মুখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তিনি সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাফর আলমের ছেলে। তাকেও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এছাড়া উপজেলার দোছড়ি সীমান্তে মাইন বিষ্ফোরণে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো: রাসেল আহত হয়েছে। তার পিতার নাম মুজিবুর রহমান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আলী হোসেনসহ কয়েকজন চোরাকারবারী বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের ৪৭ নং সীমান্ত পিলারের নিটকবর্তী ২এস পয়েন্টে গেলে বিকট শব্দে মাইন বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় তার সঙ্গে থাকা লোকজন আলী হোসেনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এই বিষয়ে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাইন বিষ্ফোরণে দুইজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছেন।
জানা গেছে, গত বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের এপার থেকে মায়ানমার বিদ্রোহীদের জন্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্য পাচার বেড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার থেকে এসব মালামাল পাচারের পাশাপাশি মিয়ানমারের ওপার থেকে আসছে ইয়াবা সহ অবৈধ গরু। প্রতিদিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের আশারতলী, ফুলতলী, জামছড়ি, চাকঢালা, লেমুছড়ি, ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকা দিয়ে লাখ লাখ টাকার মালামাল পাচার হয়। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে চোরাচালান প্রতিরোধে নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা হিমশিম খাচ্ছেন।
এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এসব কাজে জড়িত। চোরাকারবারীরা প্রতিটি এলাকায় তাদের সিন্ডিকেট মজবুত করেছে। এসব প্রতিরোধে জনসচেতনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এফএইচ/