সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ১নং পদুমশহর ইউনিয়নের ডিমলা পদুমশহর মৌজার ৭নং ওয়ার্ডে বেপারীপাড়ায় গিয়ে দেখা যায় ১০ পরিবারের প্রায় শতাধিক লোক যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। চারদিকে রাস্তা না থাকায় মহা বিড়ম্বনায় পরিবারগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ফুল মিয়া,লাল মিয়া, বাচ্চু মিয়া, মুক্তি বেগম, মমিনা বেগম, শাপলা বেগমসহ অর্ধশতাধিক লোক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বসবাস স্থলের পূর্ব পাশে খালেক মিয়ার বাড়ি, দক্ষিনে রেলের খাস জমি,পশ্চিম পাশে আতাউরের বাড়ি ও উত্তরে গহিনখাল ।
স্থানীয় বসতবাড়ির প্রতিবেশীরা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বসত বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা গুলি বাঁশ ও বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। যার ফলে স্কুলপড়ুয়া বাচ্চা, অসুস্থ রোগী ও কর্মজীবি মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সহকারী ভূমি কমিশনার সাঘাটা নিকট লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সমাধান মেলেনি।
ভুক্তভোগী ফুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রতিবেশি খালেক, আতাউর, নজরুল জমিজমা নিয়ে মতবিরোধ হওয়ায় তারা আমাদের যাতায়াতের রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়। জাহেলিয়া যুগের মত আচরণ করছে তারা। কেউ মৃত্যুবরণ করলে লাশ বের করব কিভাবে তা আমার জানা নেই। আমরা যে কি মানবেতর জীবন যাপন করছি আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না। যাতায়াতের রাস্তা গুলি খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে তারা সোমবার (২০ জানুয়ারি) আবারো সহকারী কমিশনার (ভূমি )সাঘাটা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।
এ বিষয়ে ১নং পদুমশহর ইউনিয়ান পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শানিনুল ইসলাম শাহিনুর বলেন, ইতিপূর্বে আমরা উঠান বৈঠকে বসেছিলাম তবে যারা যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করেছে তারা আমাদের কথা রাখেননি। আমাদের কাছে তাদের অমানবিক লোক মনে হয়েছে।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মকছুদ হোসেন বলেন, যদি তারা রাস্তা বন্ধ করে থাকেন তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসলে সরেজমিনে তদন্ত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করব।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই জেলা প্রশাসক মহাদয়কে অভিযোগ করলে তিনি সমস্যাটি দেখবেন।
এফএইচ/