সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সুন্দরবন ভ্রমণে গিয়ে একসাথে তিনটি বাঘের দেখা পেয়েছেন দর্শনার্থীরা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের কটকা অভয়ারণ্য এলাকার বেতমোড় খালে এবং খাল সংলগ্ন বনে বাঘগুলোকে দেখতে পায় পর্যটকবাহী লঞ্চ এমভি আলাস্কার দর্শনার্থীরা।
তারা মুঠোফোন দিয়ে বাঘগুলোর ছবি তোলেন। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক না থাকার কারণে বিষয়টি সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে জানাজানি হয়।
বাঘের দেখা পাওয়া পর্যটকবাহী লঞ্চ এমভি আলাস্কারের পর্যটক গাইড মো. আলামিন মুঠোফোনে বলেন, ওইদিন দুপুরে আমাদের লঞ্চ কটকার বেতমোড় খালের কাছে আসার পরই একই জায়গায় তিনটি বাঘের উপস্থিতি দেখতে পান পর্যটকরা। বাঘ তিনটির ছবিও তোলেন দর্শনার্থীরা।
তিনি আরও বলেন, বাঘগুলো অনেক সময় ধরে ওই এলাকায় ছিল। কটকা অফিস পাড় থেকে দুটি বাঘ এবং বেতমোর নদী পেড়িয়ে একটি বাঘ এসে একত্রিত হয়েছিল। কিন্তু বেতমোড় এলাকা থেকে আসা বাঘটিকে অপর দুটি বাঘ আক্রমণ করে প্রথমে নদীতে ফেলে দেয়। নদীতে পড়ে যাওয়া বাঘটি অনেকক্ষণ ধরে পানিতে ভাসতে ছিল। পরে সাতরে উঠে বাঘটি বনের মধ্যে পালিয়ে যায়।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারন্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোয়েবুর রহমান সুমন বলেন, কিছুদিন আগে কটকার বাদামতলা এলাকায় টহলের সময় এক সাথে চারটি বাঘ দেখেছিলাম। এবার পর্যটকবাহী একটি লঞ্চের দর্শনার্থীরা একসাথে তিনটি বাঘ দেখতে পেয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। চোরা শিকারীর সংখ্যা কমে যাওয়া এবং বাঘ তার সুস্থ আবাসস্থল ফিরে পাওয়ায় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
এর আগে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শরণখোলা রেঞ্জের চান্দেশ্বর ফরেস্ট টহল ফাঁড়ি এলাকায় এক সাথে তিনটি বাঘ ২০ ঘণ্টা ধরে অবস্থান করছিল। তখনও বনরক্ষীরা বা তিনটির ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছিলেন। বাঘের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল।
আরএ