সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সকল রুটে ইজিবাইক চলাচলে অনুমতির দাবিতে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে চালকরা।
সোমবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কাযার্লয় ঘেরাও কর্মসূচি শেষে সিটি করপোরেশনের সামনের সড়ক অবরোধ করে প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ করে তারা।
নগরীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে ৬টি রুটে ইজিবাইক চলাচলে নির্দেশনা দেন সিটি করপোরেশন। সোমবার সকাল থেকে নির্দেশনার কারণে জিলা স্কুল মোড় থেকে নতুন বাজার হয়ে গাঙ্গিনারপাড়, সিকে ঘোষ রোড, দূগার্বাড়ি রোড এবং স্বদেশী বাজারে ইজিবাইক চলাচল না করায় স্বস্তি প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ।
তারা বলেন, সিটি করপোরেশনের এমন সিদ্ধান্তে নগরীতে যানজট কমে আসায় কাজের গতি বেড়েছে। এটি অব্যাহত থাকলে মানুষের দুভোর্গ অনেকাংশেই কমে যাবে।
অপরদিকে ইজিবাইক চালকরা বলছে, অটো প্রতি ৮ হাজার টাকা খরচ করে তারা লাইসেন্স করার পরেও প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে যাত্রী পাচ্ছেন না তারা। এতে প্রায় ৮ হাজার ইজিবাইক চালকের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাই দ্রুত এমন সিদ্ধান্ত তারা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ইজিবাইক চালক রবিউল ইসলাম বলেন, রাজনীতি নয় আমরা পেটনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা কেন রাজনীতির শিকার হলাম, আমাদেরকে কেন অটো চলাচল বন্ধ করতে হলো। লাইসেন্স দেওয়ার সময় তো এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলা হয়নি। আমরা মনে করি আমাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে, এমন সিদ্ধান কোনোভাবেই মানার মতো নয়।
আরেকজন ইজিবাইক চালক আব্দুল আওয়াল বলেন, যেসব রুটগুলোতে আমাদের ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেসব রুটে ঢুকতে না পারলে আমাদের অটোতে কেউ উঠবে না। আমরা কোনো অন্যায় করছি না, অটো চালিয়ে জীবিকা নিবার্হ করছি, একেক জনের পরিবারে ৮—১০ জন সদস্য অটোর আয়ে চলে। তা বন্ধ হয়ে গেলে মরা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠক করছে। আশা করি সুন্দর সমাধান হবে।
গাঙ্গিনারপাড় এলাকার সোহরাব হাসান বলেন, আজকে সকাল থেকে নগরীতে ইজিবাইক চলাচল করছে না, এতে চলাচলে অনেকটা স্বস্তি মিললেও বেড়েছে ভাড়া। সব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে সকলের জন্য ভালো হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে নগরীর কয়েকটি রুটে অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় চালকরা আন্দোলন করে জেলা প্রশাসক ও সিটি করপোরেশ ঘেরাও করে। সেখানে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য পুলিশ কাজ করেছে। সেটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কি করবেন তারাই ভালো জানেন।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব সুমনা আল মজীদ বলেন, ইজিবাইক চালকরা আমার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। যেহেতু বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেহেতু সেটি পুনর্বিবেচনা করতে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। দেখা যাক কি হয়, আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএ