সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জিম্মি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালটির অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেন হাসপাতালে আউট সোর্সিংয়ের কাজ করেন।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, সম্প্রতি অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনের চুক্তি ভিত্তিক চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। রোববার সকাল ১১ টায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদ এক চিঠিতে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে গত দুই মাসের রোগী পরিবহনের টাকা হাসপাতালের হিসাব বিভাগে জমা দিতে নির্দেশ দেন। একই চিঠিতে অবৈধভাবে শাহাদাতের দখলে রাখা হাসপাতালের কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে বলা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেন হাতে লাঠি নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক মো. শামীম আহম্মেদকে হাসপাতালের সভাকক্ষে নিয়ে তালাবদ্ধ করে হত্যা চেষ্টা করেন। পরে হাসপাতালের কর্মচারী ও রোগীর স্বজনরা এগিয়ে গিয়ে অবরুদ্ধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শামীম আহম্মেদকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে মারধর করেন। পরে পুলিশ এসে শাহাদাৎ হোসেনকে আটক করে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ নার্স মনিন্দ্র নাথ বলেন, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে মানুষের জরুরি সেবায় জন্য দুটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। মহসিন নামে একজন চালক অনিয়মের দায়ে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন শাহাদাৎ। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের গ্যারেজে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের টুল বক্স থেকে ৩৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমাকে মানসিক নির্যাতন করে আসছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদ বলেন, মাদকাসক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনের চুক্তিভিত্তিক চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। এজন্য গত দুই মাসের রোগী পরিবহনের টাকা হাসপাতালের হিসাব বিভাগে জমা দিতে বলায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএ